বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন- মজনু এমপি

দেশবাণী
Spread the love

বাংলা বাণী:
বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এমপি বলেছেন স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার সংগ্রামে বিজয় অর্জন পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা করে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তির সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা। দেশে অর্জিত এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা আবারও তৎপর। মুক্তিযোদ্ধা এবং নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির সকল অপত্যৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে।বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পেছনে মূল ভিত্তি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মহান স্বাধীনতার শক্তি।অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আজকের এই দিনে সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। জাতীয় জীবনে এই দিনটির গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম।

তিনি আজ(২৬/৩/২৪) মহান শহীদ দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত কর্মসূচিতে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য এসব কথা বলেছেন ।

প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি বলেছেন স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই করেছিলেন। বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। বিএনপির নেতাকর্মীর ধারাবাহিকভাবে এই অপতৎপরতা চালাচ্ছে। কখনও স্বাধীনতার ঘোষক, কখনও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় কখনই এ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। এমনকি তিনি নিজেও পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘‘বাঙালির নির্বাচিত প্রতিনিধি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাকারী একমাত্র জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি, যার আহ্বানে সাড়া দিয়েই সবাই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’ ’ জিয়ার এ বক্তব্যের পরও যারা জিয়াকে নিয়ে ইতিহাসের অপব্যাখ্যা করেন তাদের পরিষ্কার উদ্দেশ্যটিই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরোধিতা করা।স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা করা, বাংলাদেশের প্রতি অসম্মান করার শামিল।বিকৃত হয়ে যাচ্ছে সত্য ঘটনাগুলো। কিন্তু এই বিকৃতি একটি জাতির জন্য অপমানজনক। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের এই সঠিক ইতিহাস জানতে হবে

তিনি আরো বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষ্যে, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমী হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ মকবুল হোসেন, টি জামান নিকেতা, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট আমানুল্লাহ, প্রদীপ কুমার রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন, মনজুরুল আলম মোহন, এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, অধ্যক্ষ শাহাদাত আলম ঝনু, অ্যাডভোকেট তবিবর রহমান তবি, শেরিন আনোয়ার জার্জিস, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম আক্কাস, নাসরিন রহমান সীমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান মিন্টু, মাশরাফি হিরো, আনোয়ার পারভেজ রুবন, তপন চক্রবর্তী, খালেকুজ্জামান রাজা, আবু সেলিম, এম এ বাসেদ, অধ্যক্ষ শামসুল আলম জয়, অধ্যক্ষ খাদিজা খাতুন শেফালী, আবু সুফিয়ান শফিক, আবু ওবায়দুল হাসান ববি, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, আলতাফুর রহমান মাসুক, আলমগীর হোসেন স্বপন, হেফাজত আরা মীরা, আব্দুস সালাম, আলমগীর বাদশা, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সাবরিনা সরকার পিংকি, অ্যাডভোকেট লাইজিন আরা লিনা, রাকিবউদ্দিন সিজার, রাশেকুজ্জামান রাজন, সজীব সাহা প্রমুখ। জেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েল এর পরিচালনায় জেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে সকাল আটটায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন,শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ সম্প্রচার।