নির্বাচন কমিশনের ডাটাএন্ট্রি অপারেটরসহ দু’জন গ্রেফতার

বাংলাদেশ
Spread the love

বাংলা ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম নিবন্ধন সনদ ও কোভিড-১৯ টিকা কার্ডের গোপন তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের ডাটাএন্ট্রি অপারেটরসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গ্রেফতারকৃতরা হলো নির্বাচন কমিশনের ডাটাএন্ট্রি অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন ও লিটন মোল্লা। মঙ্গলবার লিটন মোল্লাকে বাগেরহাট থেকে ও জামাল উদ্দিনকে পাবনা থেকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের পৃথক দু’টি টিম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারী করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিটিটিসির ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ। দীর্ঘদিন গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পর অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জামাল উদ্দিনের সহায়তায় লিটন মোল্লা নির্বাচন কমিশন সার্ভার থেকে এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতো। তারা টাকার বিনিময়ে জাল এনআইডি প্রদান, হারানো এনআইডির কপি তৈরি, এনআইডির তথ্য সংশোধন, জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল কপি ও নাম সংশোধন, কোভিড-১৯ এর টিকা কার্ড ও টিন সার্টিফিকেটের কপি তৈরি করে সরবরাহ করতো। তারা টাকার বিনিময়ে অনলাইনে এনআইডি ও অন্যান্য সনদ প্রদানের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ধরনের কাজের বিনিময়ে তারা গুরুত্ব অনুযায়ী ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতো। হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা গ্রাহক সংগ্রহ করতো। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লিটন নিজের তৈরি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব জাল সনদ তৈরি করে গ্রাহকদের প্রদান করতো এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতো। এভাবে তারা প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের আদেশে বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।