বাংলাদেশ সফরে আসতে কত রকমের বাহানা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের। ২০১৭ সালে সবশেষ সফরে আসার আগে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে সফর পিছিয়েছিল বেশ কয়েকবার।
শেষ পর্যন্ত এসেছিল তারা এবং দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ ফলাফল নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল স্টিভ স্মিথের দলের।এরপর থেকে বলা যায় বাংলাদেশকে এত হালকা ভাবে নেয়ার কারণ নেই অজিদের। বিশেষ করে টাইগারদের ঘরের মাঠে।ঢাকায় প্রথম টেস্টে সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভেঙে পড়ে অজি শিবির। প্রথম টেস্টে ৯ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে ১৩ উইকেট পাওয়া নাথান লায়নের কল্যাণে যদিও চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে মান বাঁচায় অজিরা।
এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলতে চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারী প্রভাবে স্থগিত হয়ে গেছে ম্যাচ দুটি। কবে নাগাদ এই ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে এই ব্যপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড।তবে সিরিজ স্থগিত হওয়ায় হতাশ হয়েছেন গেলবার দুই ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজ সেরা হওয়া নাথান লায়ন।গত সিরিজে এমন পারফরম্যান্সের পর লায়ন আশা করতেই পারেন, আসন্ন সিরিজেও ভালো কিছুর। কিন্তু এই সিরিজ না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন তিনি।
‘বাংলাদেশ সফরে যাওয়া হচ্ছে না বলে আমি হতাশ হয়েছি। গতবারও বাংলাদেশ সফর আমি উপভোগ করেছি। অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ ছিল।’লায়ন আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করেছেন, এই সিরিজটা যেন নতুন সূচীতে অনুষ্ঠিত হয়।‘আশা করি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসি এই সিরিজটির বিষয়ে ভাববে। আমি মনে করি তারা চাইলে সেখানে খেলতে পারব।’শুধু বাংলাদেশ সফর নয়, আগামী বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়েও শঙ্কা জেগেছে করোনাভাইরাসের কারণে। তবে লায়ন চান, যখনই ফাইনাল হোক, অস্ট্রেলিয়া যেন ফাইনালে খেলে।‘ফাইনাল যেখানে হোক, যখনই হোক আমি চাইবো একটা দল যেন অস্ট্রেলিয়া হয়। ফাইনাল খেলতে আমরা এখনও ঠিক পথেই আছি।’