সাধারণ ছুটির পরিকল্পনা লকডাউন এলাকায়

রাজধানী
Spread the love

করোনা সতর্কতায় রাজধানীর লকডাউন এলাকায় বসবাসকারী বেসরকারি চাকরিজীবীদের সাধারণ ছুটির চিন্তাভাবনা চলছে। এ-কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। কেননা, লকডাউন এলাকার বেসরকারি চাকরিজীবীরা কাজে যেতে না পারায় কাজ হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। স্বাস্থ্যসহ জরুরি সেবাকর্মী ছাড়া লকডাউন এলাকার কাউকেই বের হতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছেসেবকেরা।

লকডাউন এলাকার দ্বায়িত্বশীল পুলিশ ও স্বেচ্ছেসেবকরা বলছেন, স্বাস্থ্যসহ জরুরী সেবাকর্মী ছাড়া কাউকে এলাকায় প্রবেশ বা বের হতে দেয়া হবে না। রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় পূর্বঘোষিত পরীক্ষামূলক লকডাউনের চতুর্থ দিনে অনেকটাই সহনশীল হয়েছেন বাসিন্দারা।

রেড জোন এলাকায় লকডাউন শুরুর পর অহেতুক যাওয়া-আসার হিড়িক পড়েছিল বাসিন্দাদের মাঝে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে প্রথম তিন দিনের মতো বাসিন্দারা গেটের সামনে এসে তেমন ভিড় করেননি।

এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, লকডাউনের পর থেকে এলাকার বাসিন্দারা নানা অজুহাতে এলাকার বাইরে যেতে রাস্তার প্রবেশ মুখে ভিড় করছেন। কাউকে কাউকে পুলিশ বাধ্য হয়ে অনুমতি দিলেও পুলিশ বাসিন্দাদের লকডাউনের কার্যকারিতা বোঝানোর চেষ্টা করেছে।

রেড জোন এলাকার লকডাউন সফল করতে হলে তা অবশ্যই জনবান্ধব হতে হবে। তাই সরকারি-বেসরকারি সব চাকারিজীবীদের জন্য সাধারণ ছুটির পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম। রেড জোন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দুই তিন সপ্তাহেরর মধ্যে করোনা প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসবে বলে আশা করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন’ (লকডাউন), ‘ইয়েলো জোন’ (আংশিক লকডাউন) ও ‘গ্রিন জোন’ (লকডাউন নয়) ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাজাবাজারে গত মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে লকডাউন শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন কার্যকর করা হবে সেখানে।