করোনায় আরো ২ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

স্বাস্থ্যসেবা
Spread the love

করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আরো দুজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁদের মৃত্যু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

করোনায় মারা যাওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণ বিভাগের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেক (৩৬) ও ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের এয়ারপোর্ট জোনের কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ (৪২)।

মাসুদুর রহমান বলেন, পিওএম দক্ষিণ বিভাগের এএসআই আবদুল খালেকের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে আইইডিসিআর গত মঙ্গলবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে। গতকাল বুধবার তাঁর নমুনা টেস্ট রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তাঁকে আরামবাগ হোটেলে আইসোলেশনে রাখা হয়।

মাসুদুর রহমান বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ ভোর সাড়ে ৪টার সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আবদুল খালেক ১৯৮৪ সালে বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মৃত আজিজ মৃধা। তিনি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগ দেন। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

মাসুদুর রহমান বলেন, গত ২৬ এপ্রিল কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ওই দিনেই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে। ২৭ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তাঁকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে আইসোলেশনে রাখা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায়। ইন্দ্রবাড়ি গ্রামে ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মৃত আয়েজ উদ্দীন। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগ দেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মাসুদুর রহমান বলেন, আজ দুপুর ১২টায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তাঁদের জানাজা শেষে পুলিশি ব্যবস্থাপনায় নিজ নিজ জেলায় পাঠানো হয়েছে। তাঁদের এই অকাল মৃত্যুতে ঢাকা মহানগর পুলিশ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে। এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।’

এদিকে বাংলাদেশে করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী হলেন কনস্টেবল জসিম। তিনি গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।