আরও ১১৮ শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ

বাংলাদেশ
Spread the love

বাংলা ডেস্ক :
চতুর্থ দফায় একাত্তরের শহীদ আরও ১১৮ জন বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চর্তুথ দফায় ১১৮ জন নতুন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করা হলো। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এ তালিকা প্রকাশ অব্যহত থাকবে। তবে চূড়ান্ত তালিকা আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এরপর আর কোনো তালিকা প্রকাশ করা হবে না।

এ নিয়ে চার দফায় মোট ৫৬০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করা হলো। চতুর্থ দফায় স্বীকৃতি পাওয়া ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর মধ্যে ৪৭ জনই অজোপাড়া গায়ের শিক্ষক। তালিকায় আরও আছেন স্থানীয় ১৭ রাজনীতিবিদ ও ১৩ চিকিৎসক।

২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রণয়নে প্রথম কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১৯১ জন এবং ২০২২ সালের ২২ মে দ্বিতীয় দফায় ১৪৩ জনকে শহীদ বুদ্ধিজীবীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় ১০৮ জনকে (একজনের নাম দুবার আসে) এবং আজ আরও ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম প্রকাশ করল মন্ত্রণালয়। বর্তমানে সব মিলিয়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা ৫৬০ জন।

চর্তুথ দফায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শহীদ বুদ্ধিজীবীরা হলেন- হবিগঞ্জের শিক্ষক অনিল চন্দ্র দেব, সত্যরঞ্জন অধিকারী (খোকা), হরিপদ গোস্বামী (ভানু), হরিদাস সাহা, শফিকুর রহমান, পল্লী চিকিৎসক অবিনাশ রায়, শিক্ষক কালীচরণ নমঃশূদ্র, হারুনর রশীদ, হোসেন সিদ্দিক, জগৎজ্যতি দাস বীর প্রতীক,
মানিকগঞ্জের চিকিৎসক ডা. অজিত কুমার চক্রবর্তী, ডা.সন্তোষ রঞ্জন কুমার বসাক, ডা.নিবারণ চন্দ্র সাহা, হীরালাল সরকার, রাজনীতিবিদ সিদ্বেশ্বরী প্রসাদ রায় চৌধুরী, নারীনেত্রী যোগমায়া চৌধুরী কালী, রাজনীতিবিদ ব্রজেন্দ্র কুমার সাহা (হিরু), রামলাল সাহা, মোহিনীকান্ত গুহ রায়, সমাজসেবী নীহাররঞ্জন রায়, পৃথ্বীশচন্দ্র সাহা, নূপেদ্রকান্ত রায় চৌধুরী, নরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু, শিক্ষক নিতাই চন্দ্র বসাক, স্বদেশচন্দ্র বসু মজুমতদার, প্রবন্ধ কুমার নাগ, নারায়ন চক্রবর্তী, গণসঙ্গীতশিল্পী জগবন্ধু সাহা, সমাজসেবক অবনী কুমার রায়, অভিনয়শিল্পী অতুল কৃষ্ণ সাহা, চাকরিজীবী আবু ইলিয়াস মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, পল্লী চিকিৎসক ও লোকসঙ্গীত শিল্পী আবুল বাশার খান, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিকআবদুল হামিদ শেখ, সমাজেসেবী উমেশ চন্দ্র সাহা, এজেডএম জিয়াউদ্দিন, আইনজীবী চিত্ররঞ্জন বসু,
ঢাকার শিক্ষক কালীপ্রসন্ন রায়, চিকিৎসক চিত্ররঞ্জন সাহা, ডা.বিজয়রত্ন রায়,সুধীর কুমার রায়, ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা হারুন অর রশীদ,
যশোরের নাট্যভিনেতা অমল কৃষ্ণ সোম, অরুণ কৃষ্ণ সোম, রাজনীতিবিদ মো.আসদুজ্জামান, লুৎফর রহমান, সংস্কৃতিকর্মী শেখ ওয়াহিদুর রহমান চারু, সমাজসেবি শহীদ উদ্দিন আহম্মেদ, প্রকৌশলী শামস–উল–হুদা, পল্লীচিকিৎসক তফেল উদ্দিন আহম্মাদ, শিক্ষক কাজী আইয়ূব হোসেন, সিদ্দিকুর রহামান, সিরাজুল ইসলাম, গোবিন্দ, নওয়াব আলী বিশ্বাস, প্রবোধ কুমার নাগ,গণসঙ্গীতশিল্পী সাবুদেব কুমার দত্ত বাচ্চু, লেখক ইয়াকুব আলী, চাকরিজীবী মহিউদ্দীন আহমেদ বিশ্বাস, শিক্ষক মো.আব্দুস সালাম টিপু, আইনজীবী সুশীল কুমার রায় সৈয়দ আমির আলী, ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান,
সিরাজগঞ্জের ডা. প্রকাশ প্রামাণিক মিন্টু, শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, শাহেদ আলী, মহাদেব চন্দ্র সাহা, নূরুল ইসলাম, ননীগোটাল বসাক,গোলাম মোস্তফা,চিত্রশিল্পী গোবিন্দ চন্দ্র দাস, ইঞ্জি. আহসান-উল-হাবীব, শিক্ষক আব্দুল হামিদ, আবেদ আলী, সংস্কৃতিকর্মী ওয়ালিউর রহমান পারু, শিক্ষক ইয়ার মোহাম্মদ,
পাবনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনূল ইসলাম, রাজনীতিক আব্দুর রহমান খান কাশেম, ভাষা সৈনিক আব্দুর রহিম, ইমাম ও সমাজসেবী মাওলানা আব্দুল আজিজ, শিক্ষক আব্দুল গফুর বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক কর্মী আব্দুল জব্বার, চিত্রশিল্পী আব্দুল লতিফ খান, সাংস্কৃতিক কর্মী ও রাজনীতিক আব্দুল হামিদ, রাজনীতিক ও সংগঠক আহসান উদ্দিন মানিক,
দিনাজপুরের শিক্ষক আবুল হোসেন,শাহ মো.সোলাইমান, চিকিৎসক (হোমিওপ্যাথ) ডা. আবু বক্কর আকন্দ, শিক্ষক আছাব উদ্দীন সরকার, মফিজ উদ্দীন সরকার, সঙ্গীত শিল্পী আমিরুল হুদা জিন্না, শিক্ষক আব্দুল খালেক,
নেত্রকোণার শিক্ষক কামিনী কুমার চক্রবর্তী,
নওগাঁর চাকরিজীবী আইয়ুব হোসেন, প্রকৌশলী প্রশান্ত পাল, শিক্ষক খাজা আব্দুস ছাত্তার, জয়নাল আবেদিন,
কুমিল্লার মাওলানা আবদুল লতিফ,বরিশালের ইমাম ও স্কুলের শিক্ষক মুনশি. আলি আজিম খান,
কিশোরগঞ্জের শিক্ষক আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ,নীরদ রঞ্জন গিরী,সঙ্গীতশিল্পী ভূপাতিনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী,
ময়মনসিংহের ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা ছফির উদ্দিন মুনশী,
নীলফামারীর নাট্যভিনেতা নূর মোহাম্মদ,
মুন্সীগঞ্জের ডা.সুরেন্দ্র চন্দ্র সাহা,
সিলেটের প্রধান পুরোহিত (রমনা কালী মন্দির, ঢাকা) স্বামী পরমানন্দ গিরী, ইমাম ও শিক্ষক (মাদ্রাসা মাওলানা মকদ্দস আলি, ইতালির ধর্মযাজক ফাদার মারিও ভেরোনেসি,
গোপালগঞ্জের শিক্ষক মাওলানা হাবিবুর রহমান ও চট্টগ্রামের শিক্ষক সুমতি রঞ্জন বড়ুয়া।