দুপচাঁচিয়া(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগর নদটি প্রায় ৩০বছর পর নৌকা ’নাগর তরী’ভাসানোর মধ্য দিয়ে নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার উদ্দ্যোক্তা হলেন দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ।সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় থানা পরিষদ চত্ত¡র সংলগ্ন নাগর নদের তীরে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক,আদমদিঘীর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আমিনুর রহমান,যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুল হোসেন মহলদার,পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগন,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং অসংখ্য দর্শক উপস্থিত ছিলেন। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোল ঘেষে বয়ে চলা নাগর নদ করোতয়া নদীর একটি শাখা নদ। নাগর নদ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা আটমুল ইউনিয়নের জগদ্বীশপুরের নিকট দিয়ে করোতয়া নদী থেকে বের হয়ে প্রায় ১০ মাইল বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা সীমানা ঘেষে প্রবাহিত হয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় প্রবেশ করে। তারপর দুপচাঁচিয়া উপজেলা চামরুল ইউনিয়নের চামরুল,মোস্তফাপুর,পোড়াপাড়া ,ঘাট-মাগুড়া,আটগ্রাম। দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নে খোলাস,ধাপসুলতানগঞ্জ,সঞ্জয়পুর,আলোহালী এবং তালোড়া ইউনিয়নের তালোড়া রেলষ্টেশনের পূর্বপাশ দিয়ে পরানপুর অতিক্রম সর্বশেষ নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায় প্রবেশ করে সিংড়া ব্রীজের নিকট আত্রাই নদীতে সংযুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে নাগর নদের দুরবস্থা দেখে দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ তিনি সকল মহলের সংগে আলোচনা করে নিজ উদ্দ্যোগে থানা চত্ত¡র সংলগ্নে একটি ঘাট তৈরি করে ”নাগর তরী”(নৌকা) প্রতিদিন ১ঘন্টা করে জনগনের বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা ও নদ সংরক্ষনের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে বিনোদনের পাশাপাশি নদের পানির ¯্রােতের প্রবাহ বজায় থাকবে। উল্লেখ্য,নাগর নদ আরও বেশী বিপন্ন হয়েছে কিছু অসাধুচক্রের বিষাক্ত থাবায়। নাগর নদের দু’পাশে দখল,কোথাও মাটি ভরাট,মাটিকাটা,বালু তোলা,বিশেষ করে কাহালু উপজেলার উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া কাগজের মিল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ও দূষণ পানি বিভিন্ন ভাবে নাগর নদকে মেরে ফেলার উপক্রম করেছে।
নাগর নদের বিপন্নতার ইতিহাস এখানেই শেষ নয়।নাগর নদের দু’পাশে গড়ে উঠা মাঝারি শিল্প কারখানাগুলো বিষাক্ত বর্জ ফেলা হয় নিয়মিত। বর্ষাকালে নদের পানির সাথে বর্জ মিশে পানি হয়ে যায় দূষিত।নদের দেশীয় ছোট ছোট মাছগুলি মরে ভেসে উঠে।তাছাড়া ওই দূষিত পানি ফসলের জমিতে সেচ দিলে ফসল নষ্ট হয়ে যায় কৃষকের। ক্ষরা মৌসুমে নাগর নদের নীচে কিছু আসাধুচক্র মাটি ভরাট করে ফসলের আবাদ করলে বর্ষা মৌসুম এলে নদের পানির নাব্যতা হারিয়ে যায় কারণ নদের দু’ধারে মাটি ভরাট থাকলে নাগর নদ মৃত দেখায়।