শ্রমিকদল নেতা লিটন শেখ বাঘাকে সাময়িক অব্যাহতি

বাংলাদেশ
Spread the love

বাংলা ডেস্ক :
বগুড়া জেলা শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ বাঘাকে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকে সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট ও জেলে থাকা নেতাদের জামিনের নামে স্বজনদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি তাকে লিখিতভাবে জানিয়ে এর অনুলিপি জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে তার (বাঘা) বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিটন শেখ বাঘা দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। দ্রুত এসবের জবাব দেবেন।

লিটন শেখ বাঘার কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে জেলে থাকা শহর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম সাজুকে জামিনের নামে গত ২১ মার্চ তার স্ত্রী আয়েশা আকতারের কাছ থেকে অন্যায় ও প্রতারণার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক, স্বে”ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেছেন। এর আগে বগুড়া পৌরসভার ১৭নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি জেলে থাকায় তার স্ত্রীর কাছ থেকে মিথ্যা আশ্বাসে দুই হাজার টাকা নেওয়া হয়। ১২নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেন।

গত ২৩ মার্চ জেলা বিএনপির যৌথ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বর্তমানে জেলে থাকা শহর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম সাজুর স্ত্রীর অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। এ ঘটনায় জড়িত জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ বাঘার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

এসব ছাড়াও জেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন শেখ বাঘা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট উক্তি, উসকানি, উৎকোচ গ্রহণ ইত্যাদি পোস্ট করে থাকেন। বর্তমানে জেলা শ্রমিক দল ও শহর দলের মোট ৫-৬টি আইডি একাই ব্যবহার ও আরও নতুন নতুন ফেক আইডি খুলে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার করছেন। এর ফলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সামাজিক ও পারিবারিক সম্মানহানি করা হয়েছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো।