ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক
Spread the love

বাংলা ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভ ক্রমান্বয়ে সহিংস হয়ে উঠছে। দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্পাস জুড়ে কমপক্ষে ৪০টি ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিবাদ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের বিক্ষোভ চলছে।
এরিমধ্যে দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছেন শতাধিক বিক্ষোভকারী, যাদের মধ্যে রয়েছেন- গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইন। বিক্ষোভকারীরা, যেসব কোম্পানি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তাদেরকে বয়কট করার দাবি করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী স্টেইনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, মিসৌরির সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে জিল স্টেইন। গ্রিন পার্টির রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে বিক্ষোভের অভিযোগের মুখোমুখি হওয়াকে অবিশ্বাস্য ঘটনা বলেও মন্তব্য করেছেন ওই মুখপাত্র।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গত সপ্তাহ থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বিক্ষোভে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন মার্কিন স্পিকার মাইক জনসন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জার্মানির বার্লিনে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের সামনে তাঁবু খাটিয়ে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। লন্ডনের কেন্দ্রে শনিবার বিকেলে হাজারো মানুষ ফিলিস্তিনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে রাখে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করতে বাধ্য হয়। সুইডেনের সড়কগুলো ‘ফিলিস্তিন মুক্ত কর’ ও ‘ইসরায়েলকে বয়কট কর’ শ্লোগানে মুখরিত ছিলো শনিবার।