বাংলা বাণী:
দিবসটি উপলক্ষে বোর্ড চত্বরে ‘মুজিব শতবর্ষ-১০০ স্মারক মূর্যালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে আনুষ্ঠনিকভাবে বঙ্গবন্ধুর মূর্যালে পুস্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মহান স্বাধনীতা ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ নির্যাতিত মা বোন, ৭০ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্য, ৩রা নভেম্বর জেলাখানায় নিহত চার জাতীয় নেতা ও স্বাধীনতাকামী জনমানসের অসীম ত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চতুরে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়।
সকাল ৯ টায় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে চেয়ারম্যান এর সভাপতিত্বে এবং প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এস, এম, গোলাম আজম-এর সঞ্চালনায় একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সচিব মো: হুমায়ূন কবীর।
সভাপতি প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম তাঁর বক্তব্যে ইতিহাসের ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মত একটি মহান অর্জন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বাঙালির অফুরন্ত প্রেরণার উৎস হিসেবে উলেখ করে বলেন পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই ঐতিহাসিক মহাকাব্যিক ভাষণ জাতির সর্বোচ্চ ত্যাগ, সাহস ও অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কীভাবে একটি নিরস্ত্র জাতিকে স্বশস্ত্র জাতিতে রূপান্তর করে তা ব্যখ্যা বিশ্লেষণ করে বক্তব্য রাখেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণকরে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও শপথ নেয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জ্ঞাপনের সর্বাপেক্ষা উত্তম পন্থা উলেখ করে তা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আহŸান জানান।
পরে বাদ আসর শিক্ষা বোর্ড মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বোর্ড মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাশেম মো: রহমতুলাহ।
