উচ্চ আদালতের আদেশ জালিয়াতি, দুপচাঁচিয়ার পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর কারগারে

দেশবাণী
Spread the love

বাংলা ডেস্ক :
উচ্চ আদালতের আদেশ জালিয়াতির মামলায় দেড় বছর আত্মগোপনে থাকার পর জামিন নিতে গেলে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে কারগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আদেশ দেন। বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি, দুদক) আবুল কালাম আজাদ।

তিনি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চ আদালতের আদেশ তৈরি ও দুর্নীতির অভিযোগে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর জেলা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টের রিট শাখার সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল মমিন মামলাটি করেন। জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী মামলা গ্রহণ করে বাদি আব্দুল মমিনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। মামলায় দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সচিব কার্তিক চন্দ্র দাসসহ শিক্ষানবিস আইনজীবী ও সাংবাদিক আব্দুল মজিদকেও আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চ আদালতের আদেশ তৈরি ও দুর্নীতির অভিযোগে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর জেলা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টের রিট শাখার সুপারেনটেনডেন্ট আব্দুল মমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী মামলা গ্রহণ করে বাদী আব্দুল মমিনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। মামলায় দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সচিব কার্তিক চন্দ্র দাসসহ শিক্ষানবিস আইনজীবী ও সাংবাদিক আব্দুল মজিদকেও আসামি করা হয়।

২০০৭ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুদকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগ অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়ায় দুদক থেকে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর ও পৌর সচিব কার্তিকের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি চলমান থাকাকালে আসামি জাহাঙ্গীর ও কার্তিকের পক্ষে আদালতে একটি স্থগিতাদেশ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখানো হয় যে- উচ্চ আদালত দুদকের ওই মামলা স্থগিত করেছেন। ওই দুই আসামির পক্ষে আব্দুল মজিদ নামে এক ব্যক্তি আইনজীবী হিসেবে হলফনামা আকারে আদালতে স্থগিতাদেশ জমা দেন।
পরে সেই স্থগিতাদেশের বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়- উচ্চ আদালতের অন্য একটি মামলার নম্বর ব্যবহার করে জালিয়তির মাধ্যমে ভুয়া স্থগিতাদেশ বগুড়ার আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আসায় ওই আদালতের নির্দেশেই ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর জালিয়াতির মামলাটি করা হয়। জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়কে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ একবছর তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দুদক বগুড়ার সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা পেয়ে মেয়র জাহাঙ্গীরসহ তিনজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।

স্পেশাল পিপি আবুল কালাম আজাদ জানান, গত এক বছর তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দুদক বগুড়ার সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা পেয়ে মেয়র জাহাঙ্গীরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।

এদিকে মামলার পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় মেয়র জাহাঙ্গীরসহ তিন আসামির বাড়ির মালামাল দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে ক্রোক করে।

মেয়র জাহাঙ্গীর দেড় বছর আত্মগোপনে থাকার পর বৃহস্পতিবার জেলার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি দুই আসামি কার্তিক চন্দ্র ও মজিদ এখনও আত্মগোপনে আছেন।