সাংবিধানিক শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয়: স্পিকার

বাংলাদেশ
Spread the love

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজন্ম বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। দীর্ঘ ২৩ বছর লড়াই করে বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অবিসংবাদিত এ নেতার নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় এ স্বাধীনতা। মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার পাশাপাশি জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন এক অনন্য সংবিধান।’

বৃহস্পতিবার জার্মান-দক্ষিণ এশীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান টবিয়াস ফ্লুগার এমপির নেতৃত্বে ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল স্পিকারর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে এ সব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাতে তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় কার্যক্রম, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন।

শিরীন শারমিন বলেন, ‘জার্মানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।’

স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যে জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভোটের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কশভাবে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদে বিরোধী দল সংখ্যায় কম হয়েও সংসদে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে পূর্বে সংখ্যায় বেশি থেকেও বিরোধী দল বিএনপি সংসদ কার্যক্রমে অনুপস্থিত থেকেছে। মাত্র ৩০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশে এনেছে। আর্থসামাজিক সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সুদৃঢ়।’

প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশের উন্নয়ন, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। ইতোমধ্যেই একাদশ সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে জানতে পেরে তিনি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে এটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এক মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে মানবিক আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায়; যা যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’

এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্য গ্যাব্রিয়েল কাটজমারেক এমপি, বেট্টিনা স্টার্কওয়াটজিংগার এমপি, তাবেয়া রবনার এমপি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।