যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে লিজ ট্রাস!

আন্তর্জাতিক
Spread the love

ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বরিস জনসনের উত্তরসূরী হিসেবে আরও এগিয়ে গেলেন লিজ ট্রাস। ফলাফল ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে। বেটিং কোম্পানি এসমার্কেটসের তথ্যের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে মার্কিন সংবাদামধ্যম ব্লুমবার্গ। শুক্রবার বেটিং কোম্পানি এসমার্কেটসের তথ্যের ভিত্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির সাধারণ সদস্যরা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তাদের ভোট দেবেন। ধারণা করা হয় কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার সাধারণ সদস্য রয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার কথা স্বীকার করে নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। তবে, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বেটিং কোম্পানির রাজনৈতিক বাজার বিভাগের প্রধান ম্যাথিউ শ্যাডিক বলেন, শুরুতে প্রতিযোগিতা যখন দুজনের মধ্যে নেমে আসে, তখন ফেভারিট হিসেবে ট্রাসকে ৬০-৪০ রেটিং দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিকূলতাগুলো তার পক্ষে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।

অন্যান্য বেটিং সাইটগুলোতেও ঋষির তুলনায় অনেক এগিয়ে লিজ ট্রাস। অডসচেকার বলছে, বেটিং কোম্পানি ল্যাডব্রোকস, প্যাডি পাওয়ার এবং উইলিয়াম হিলে তার পক্ষে বাজির দর এখন ১/৮।

এর আগে বেশ কয়েক মাস ধরেই নিজের চেয়ার নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। করোনাকালে পার্টিগেট কেলেঙ্কারির কারণে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হন তিনি। তবে সে যাত্রায় উতরে যান বরিস। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অল্প কিছুদিন পরই নিজ দলের এক এমপির যৌন কেলেঙ্কারির কারণে তার ওপর খড়গ নেমে আসে। অভিযোগ, বরিস জনসন ওই এমপির যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা জেনেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। বরং তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। এরপর পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায় ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে। অবশেষে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভি দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বরিস জনসন। নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।

এরপর থেকেই ব্রিটেনে শুরু হয় দলীয় প্রধান নির্বাচনের দৌঁড়। মোট ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে ভোটের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আটজন বাদ পড়েছেন। টিকে আছেন কেবল সাবেক অর্থমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস।

তাদের মধ্যেই একজন নির্বাচিত হবেন কনজারভেটিভ দলের প্রধান। আর যিনি দলীয় প্রধান নির্বাচিত হবেন, তিনিই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উত্তরসূরি।