মঙ্গলবার রাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে আমফান

তথ্য প্রযুক্তি
Spread the love

ঘূর্ণিঝড় আমফান উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এটি আরো ঘনিভূত হয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২শ ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূণিঝড়টি। কেন্দ্রে ৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে সর্বোচ্চ ৮২ কিলোমাটর পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

বর্তমান গতিতে আগাতে থাকলে ১৯ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে বংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দেশের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া খাদ্যদ্রব্যও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, আমরা সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মিটিং করেছি। উপকূলীয় জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সাথে এর গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে বন্দরগুলোর সতর্ক সংকেতও পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, গত দুই দিনে সারাদেশে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও কমছে না গরমের তীব্রতা। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো যশোরে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।