বগুড়া সেএসতা হোটেলে ডিজে পার্টির নামে অশ্লীল নৃত্য, প্রতিবাদে মানববন্ধন

দেশবাণী
Spread the love

বাংলা বাণী:
বগুড়া বনানী হাইওয়ে রোডের সেএসতা হোটেলে ডিজে পার্টির নামে অল্প বয়সী মেয়েদের দিয়ে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন ও দেহ ব্যবসার কাজে উৎসাহিত করার অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠনের বগুড়া জেলা কমিটি। সামাজিক অবক্ষয় এবং অল্প বয়সী মেয়েদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনার জন্য সোমবার দুপুরে সংগঠনটির পক্ষথেকে বগুড়া শহরের সাতমাথায় মানববন্ধন করা হয়েছে। এছাড়াও হোটেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছে বলেও জানায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
সেএসতা নামক আবাসিক হোটেলে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন সোমবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ডিজে প্রোগ্রামের নামে অল্প বয়সী মেয়েদের দিয়ে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন এবং দেহ ব্যবসার কাজে উৎসাহিত করা হয়। যেখানে ঢুকতে গেলে প্রতি লোকজনের কাছ থেকে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা করে এন্টিফিতোলা হয়। এর বিনিময়ে লোকজন অল্প বয়সে মেয়েদের খোলামেলা নাচ দেখতে পারে এবং তাদের শরীরে হাত দিতে পারে। এরপর যাদেরকে যে মেয়ে পছন্দ হয় তাদেরকে আলাদা টাকা দিয়ে পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসা অর্থাৎ শারীরিক সম্পর্কে জড়িত হয়। আর এখানকার বেশিরভাগই লোকজন মাঝ বয়সী এবং অল্প বয়সী ছেলেরা যার ফলে তাদের ভবিষ্যতে এক ধরনের নারীর নেশা আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। বগুড়া সদর থানার বর্তমান ওসি সাহেবের দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় বগুড়া শহরে কোন আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসার কাজ না চলার কারণে বর্তমান সবাই হোটেল সেএসতা ডিজে প্রোগ্রামের নামে বা ডিজে প্রোগ্রামের অন্তরালে অসামাজিক কার্যকলাপে লিম্ন হচ্ছে।
এ প্রোগ্রামগুলো চলে রাত আটটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত আর এখানকার বেশিরভাগ মেয়েদের বয়স খুবই অল্প এবং গ্রামের অভাবী পরিবারের মেয়েদেরকে বিভিন্নভাবে চাকরি লোভ দেখিয়ে চাকরির কথা বলে এখানে নিয়ে আসে এসব কাজে নিয়োজিত করেছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা গত ৫ জুলাই বুধবার টিপল নাইনে ফোন দিয়েছিলাম ট্রিপল নাইন থেকে আমাদেরকে শাজাহানপুর উপজেলা ডিউটি অফিসার ডেকেছিল ওখানকার ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলার জন্য।

কিন্তু আমরা রাত এগারোটা থেকে একটা পর্যন্ত থাকার পর ওসি সাহেবের সাক্ষাৎ পায়নি। পরে ওখান থেকে আমরা চলে এসেছি। এ বাদে ওই প্রোগ্রামে বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে পুলিশ বেশ কয়েকবার হোটেলে রেট দিলেও কখনো হোটেলের ভিতরে ঢুকতে পারেনি। কোন কারণবশত হোটেলের গেট থেকে তাদেরকে চলে আসতে হয়েছে। এতে করে পুলিশ যতক্ষণ গেটের বাইরে থাকে ততক্ষণ মেয়েদের এবং গেস্টদের কে লুকিয়ে রাখা হয় প্রোগ্রাম বন্ধ করে। পরে পুলিশ চলে গেলে গেটের বাইরে থেকে প্রোগ্রাম আবার চালু হয়। এরকম ঘটনা দুই তিনবার ঘটেছে যার তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে বিভিন্ন গেস্টদের কল রেকর্ড। এই প্রোগ্রাম কে কেন্দ্র করে ওখানকার একটা মেয়ের সংসার ও রিসেন্ট ভেঙে গেছে। শুধু তাই নয় শুধুমাত্র মেয়েটাকে প্রোগ্রামে রাখার জন্য মেয়ের সংসার টা ভাঙতে সহযোগিতা করে উরু প্রোগ্রামের আয়োজক আফরিন এবং রাকিব। শুধু তাই নয় এই রাকিব ও আফরিন সহ বেশ কিছু লোকজন নিয়ে উক্ত মেয়ের স্বামীর উপর হামলাও চালানো হয়। যার উপর হামলা চালানো হয় সে একজন মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিক। সেই ঘটনার বিষয়ে নিয়ে বর্তমান বগুড়া ম্যাজিস্ট্রেট কোটে গাবতলী অধীনস্থ মামলা চলছে।
নেতৃবৃন্দ বগুড়া শহরের সম্মান রক্ষার্থে এবং এসব গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের পরিবারের সম্মানের দিকে খেয়াল রেখে দ্রুত হোটেল সেএসতা বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার দাবী জানায়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি আরমান হোসেন ডলার, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, মাহবুব জামান খান মিলন, রোকনুজ্জামান, মোস্তফা আবু ছালেক, সাধারণ সম্পাদক আরমান খোরশেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা: রায়হান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক প্রমখূখ