বগুড়ার শিবগঞ্জ আটমূল ইউনিয়নের ডাবুইর গ্রামের বাদলাদিঘী মাঠের ধান ক্ষেত থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় ৪ জনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়া পুলিশ সুপার আশরাফুল আলী ভুঁঞা, শিবগঞ্জ সোনাতলা সার্কেল মশিউর রহমান সহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, গতরাতে ঝড় বৃষ্টির কারণে ধান ক্ষেত দেখতে আসেন এলাকার ডাবইর গ্রামের জৈনিক কৃষক। জমিতে এসে তারা হাত পা বাঁধা অবস্থায় গলা কাটা ৪ জনের লাশ দেখতে পেয়ে ভয়ে দৌড়িয়ে চিৎকার চেচামেচিতে আশে পাশের লোকজন জরো হয়। পরে তারা শিবগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ৪টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনা জানার পর থেকে আশে পাশের গ্রামের হাজার হাজার গলাকাটা লাশ দেখতে ঘটনাস্থলে ভির জমায়।
এলাকাবাসির ধারনা দুর্বৃত্বরা ৪জনকে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে চলে গেছে। নিহতদের ২জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, আটমুল ইউনিয়নের কাঠগাড়া চক পাড়া গ্রামের (১) আছির উদ্দিনের ছেলে ভাইয়েরপুকুর হাটে পান বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম(৩৩) ও রং মিস্ত্রি একই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে জাকারিয়া(৩০), জাকারিয়ার বাবার বাড়ি কিচক ধুলাঝাড়া গ্রামে, সে তার মায়ের কাছে থাকেন বলে গ্রামবাসি জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে জাকারিয়ার ভাগিনা শাহালমের সাথে কথা বললে সে জানায় গত রবিবার সকাল ৯ টায় রং এর কাজের জন্য জয়পুরহাট এর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ১০ টায় আমার সাথে বসে ভাইয়ের পুকুর বন্দরে বসে চা খায় এর পর থেকে তার সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি। পরে আজ সকালে ধান ক্ষেতে লাশ পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়ে এখানে এসে আমরা জাকারিয়াকে সনাক্ত করি। তার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই বলে সে জানায়। এলাকাবাসির আব্দুল মান্নান (৪০) জানান তার জন্মের পর থেকে এরকম নৃসংশ ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। পুলিশ সুপার পরিদর্শনে করে এসে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করে বলেন এরকম নৃসংশ ঘটনা কোন মানুষের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং দোষিদের গ্রেফতারে জন্য এলাকাবাসি সহ সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। যত দ্রুত সম্ভব দোষিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে