বগুড়ার দুটি আসনের উপ নির্বাচন: প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রইলেন ১৩ জন

বাংলাদেশ
Spread the love

বাংলা বাণী:
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনে সংসদ উপ নির্বাচনে বাতিল হওয়া ১১ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে দু’জন তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন।
এরা হলেন, বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ।

রবিবার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে ওই দু’টি আসনে কোন প্রার্থীই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন নি। ফলে ওই দু’টি আসনে এখন পর্যন্ত মোট ১৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ৫ জন এবং বগুড়া-৬ আসনে রইলেন ৮জন।

বগুড়ার দু’টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ২২জন তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে ৮ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ১১জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

বগুড়া-৪ আসনে বর্তমানে প্রার্থী রয়েছেন : ১৪ দলীয় জোট মনোনীত বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত শাহীন মোস্তফা কামাল, জাকের পার্টির আব্দুর রশিদ সরদার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজ উদ্দিন মণ্ডল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল।

বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ৬ প্রার্থী হলেনঃ আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামলিীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের ইমদাদুল হক ইমদাদ, জাকের পার্টির ফয়সাল বিন শফিক, গণফ্রন্টের আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী যথাক্রমে মাছুদার রহমান হেলাল ও আব্দুল মান্নান আকন্দ।
তবে প্রার্থীতা ফিরে না পাওয়ায় বগুড়ার দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দেয়া আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম উচ্চ আদালতে রীট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান জানান, প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপীলের শুনানী শেষে রবিবার নির্বাচন কমিশন এক আদেশে ওই দু’জনের প্রার্থীতা বৈধ বলে ঘোষণা দেন।
তফসিল অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীর মাঝে ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারের সুযোগ পাবেন।