বগুড়ার জয়পুরপাড়া ব্র্যাক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি

দেশবাণী
Spread the love

বাংলা বাণী:
বগুড়ার জয়পুরপাড়া ব্র্যাক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কর্তৃক সরকারী বই বিক্রি সহ ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নিতীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েচে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক স্খারতির ওই স্মারক লিপিটি প্রদান করা হয়।

এতে অভিভাবকরা উল্লেখ করেছেন, আমরা অত্র প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে ১০ম শ্রেণি এবং ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারী শিক্ষার্থীর অভিভাবকবৃন্দ। গত ২০২২ ইং তারিখে বর্তমান প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করে চলেছে। তার কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতি বিবরণ নিম্নে দেওয়া হলো।
যেমন- বছর শুরুর পরই শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সরকারী পাঠ্য বই বিতরণ করার পর বিগত ২০২১ সালের বোর্ড বই থেকে শুরু করে বর্তমান বছরের যে বইগুলি অবশিষ্ট ছিল তা প্রকাশ্য দিবালোকে ভাংরীর দোকানে ( চার ভ্যান) বিক্রি করে। এছাড়াও কোন শিক্ষার্থী ছুটি নিতে চাইলে তাকে ১০ টাকা ফি দিয়ে ফরম কিনে ছুটির আবেদন করতে হয়। তিনি প্রতিদিন শুধু মাত্র ১০ম শ্রেনির একটা করে ক্লাস নেন। তাও আবার অনিয়মিত। বছরের শুরুতেই ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাস রুমে প্রবেশ করে পাইভেট পড়ানোর প্রস্তাব দেন। তার কাছে কেউ যদি প্রাইভেট না পড়ে তাকে ক্লাসে বিভিন্ন ভাবে তাৎছিল্ল করে। প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ব্র্যাক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ দিলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি।
বিদ্যালয় বা সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে জাতীয় সংগীত শুরু হওযার অনেক পর বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। গত বছর( ২০২২ ইং) অতিরিক্ত ক্লাসের নামে ৮ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে জনপ্রতি ক্লাস বেতন ছাড়াও অতিরিক্ত ৫০০ টাকা করে আদায় করে এবং বর্তমানে সকল শ্রেনির থেকে রেমিডিয়াল ফি ৫০ টাকা করে আদায় করছে। ৯ম, ১০ম শ্রেণীর রেজিঃ ফি ৬০০ টাকা ও ফরম ফিলাব ফি বাবদ ৪০০০ টাকা যা ব্র্যাক ও সরকার নির্ধারিত ফি এর চেয়ে অনেক বেশি আদায় করে। ৩য় শ্রেনী থেকে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড ও গ্রামার বই তার কাছে থেকে জোর করে ক্রয় করাতে বাধ্য করে। এ ব্যবসা সে বিদ্যালয়ে নিজেই করে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দামী জিনিসপত্র যেমন সেলিং ফ্যান, টি টেবিল, মাল্টিপ্লাগ, এলিডি বাল্ব, তার বাসায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে এসএসসি ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর আমরা জানতে পারি ব্র্যাকের নিজস্ব কোন ইন নাম্বার নেই। অন্য স্কুল থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে আমাদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের ব্যবস্থা করেছে। যা আমাদের সাথে প্রতারন করা হয়েছে।
শুধুমাত্র নার্সারী থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি আছে। কিন্তুু বছরের শুরুতে আমাদের ধোঁকা দিয়ে ৬ষ্ঠ হতে ৯ম শ্রেনিতে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভর্তি করানো হয়েছে।
যা একজন প্রধান শিক্ষকের জন্য ঘৃণীত কাজ ও প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। এ রকম একজন আদর্শহীন প্রধান শিক্ষক ও কর্তৃকপক্ষে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অতএব, উপরোক্ত বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে তাকে অন্যত্র বদলী ও অনুমোদন বিহীন স্কুলটি বন্ধ করতে আপনার একান্ত মর্জি হয়।