বাংলা ডেস্ক :
লোকসভা নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। শুক্রবার দিল্লিতে এআইসিসি এর সদর দফতরে এটি প্রকাশ করা হয়। এই ইশতেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায় পত্র’। সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর দৃঢ় নজর রাখা হয়েছে এই ইশতেহারে। পাঁচটি ন্যায় গ্যারান্টি ও ২৫টি প্রতিশ্রুতি রয়েছে এতে। ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
কংগ্রেস যে পাঁচ ন্যায়বিচারের স্তমের ওপর জোর দিয়েছে সেগুলো হলো- ’যুব ন্যায়’, ‘নারী ন্যায়’, ‘কিষাণ বিচার’, ‘শ্রমিক ন্যায়’ এবং ‘অধিকারের ন্যায়’।
এছাড়া ইশতেহারে ২৫ প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশের ৩০ লাখ সরকারি শূন্যপদে চাকরি, ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবীমা, নারীদের আর্থিক সহায়তা, জাতগণনা এবং ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জাতভিত্তিক সংরক্ষণ (এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য), আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি। এর পাশাপাশি ইশতেহারে রয়েছে শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি চালুর বিষয়টি। ২৫ বছরের কমবয়সী স্নাতকদের জন্য এক বছরের জীবিকামুখী শিক্ষানবিশ হওয়ার সুযোগ দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকারের কথাও বলা হয়েছে। ক্ষমতায় এলে আগামী ১০ বছরে ২৩ কোটি মানুষকে গরীবি হাল থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। গরিব মেয়েদের বছরে ১ লাখ টাকা এবং সংখ্যালঘুদেরও পোশাক, খাবার, ভাষা এবং ব্যক্তিগত আইন পছন্দের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া কংগ্রেস ক্ষমতাতয় গেলে জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
৪৮ পৃষ্টার ইশতেহারে মূলত জোর দেওয়া হয়েছে কাজ, সম্পদ এবং কল্যাণের উপর। পাশাপাশি ফোকাস করা হয়েছে বেকারত্ব ইস্যু।
ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে খাগ্গে বলেন, কংগ্রেস সরকার নাগরিকের ব্যক্তিগত পরিসরে কখনও প্রবেশ করবে না। খাবার, পোশাক, বিয়ে, প্রেম- ভালবাসা, সম্পর্ক, আচার অনুষ্ঠানে কংগ্রস সরকার কোনও অবস্থাতেই নাক গলাবে না।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল বলেন, সারা দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর ইশতেহারে নির্দিষ্ট বিষয়গুলির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।