দুপচাঁচিয়ায় ৪ ও ৭ বছরের ২জন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধে গ্রেফতার ২

দেশবাণী
Spread the love

উজ্জ্বল চক্রবর্তী শিশির, দুপচাঁচিয়া(বগুড়া)
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ৪ ও ৭ বছরের ২ শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিম।
গ্রেফতারকৃত আসামী গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উনাহত (সিংড়া) গ্রামের মৃত -তয়েজ উদ্দিন এর ছেলে তসলিম উদ্দিন (৬০) বলে জানা যায়।
বাদী ভিকটিমের পিতা হযরত আলী সোনার (৪০),পিতা -মৃত মকবুল সোনার গত ২৮ মে থানায় এসে একটি এজাহার নামা দায়ের করে যে, আসামি তসলিম উদ্দিন (৬০)তাহার একটি মোদির দোকান থাকায় বাদির ৪ বছরের শিশুকন্যা আইসক্রিম কিনতে ওই দোকানে গেলে আসামি ওই শিশুকন্যাকে বিস্কুট ও লজেন্স হাতে দিয়ে সবার অগোচরে তার লালসার নিবৃতের লক্ষে শিশুটির যোনিতে জোরপূর্ব আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয় এবং তার গালে চুমা খাওয়ার নাম করে কামড় দেয় এবং আসামী শিশুটিকে বলে কাউকে না বললে আবার আইসক্রিম ও বিস্কুট দিবো। শিশুটি চিৎকার করে তার বাড়িতে মার কাছে বলে দেয়।এরপর শিশুটির বাবা হযরত আলী বাড়িতে এলে শিশুটির মা তার কাছে বিষয়টি জানায়।শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কর্তব্য রত চিকিৎসক জানায় শিশুটির যোনিতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান,২৮ মে রোববার বিকেলে থানায় এসে বাদী হযরত আলী তার ৪ বছরের শিশু কন্যার উপর যে মানবিক ও পৈচাশিক অত্যাচার করেছে,বাদী এজাহার নামায় সত্যতা যাচাই পূর্বক একই দিনে রাত সাড়ে আটটায় আসামি তসলিম উদ্দিন(৬০)কে ঘটনাস্থলে ঘটনা সত্যতা যাচাই পূর্ব তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও ৭ বছরের শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টায় রাজন প্রামানিক নামে ১জনকে গ্রেপ্তার করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ। ২৮মে রোববার একই দিনে বিকাল সাড়ে তিন ঘটিকায় দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকা মাঝিপাড়া মহল্লার জনৈক এক ব্যক্তির আমবাগানে ৭বছরের শিশু আম কুড়াতে গেলে শিশুটির বাড়ির পার্শ্বের প্রতিবেশী আসামি রাজুন প্রামানিক(৪৮) শিশুটিকে আম পাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে জোর করে যৌনাঙ্গে ভিতর আঙ্গুল দিয়ে বারবার ধর্ষণ করার চেষ্টা করে পরে আসামি রাজুন পুরুষ লিঙ্গটি শিশুটির মুখের ভিতরে জোরপূর্বক দিলে শিশুটি বমন করে। সে অবস্থায় শিশুটি জোরপূর্বক চিৎকার করে তার বাড়িতে এলে বমন করতে থাকে,শিশুটির মা জিজ্ঞাসা করলে সে বলে রাজুন আম দেওয়ার কথা বলে জোরপূর্ব শরীরের ভিতরঙ্গে লালুসার আশায় কাপড় চোপড় ছিঁড়ে ফেলে। শিশুটির মা তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটির বাবাকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করলেন তিনি থানায় এসে আসামি রাজুর প্রামানিকের নামে একটি এজাহার দায়ের করলে থানার শাহজাহান আলী তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক তথ্য পাওয়ায় আসামি রাজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামি রাজুন প্রামানিক(৪৮)দুপচাঁচিয়া থানা ধীন ভাটাহার গ্রামের মৃত- ফয়েন উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে বলে থানা সূত্রে জানায়। তাহার বর্তমান ঠিকানা -মাঝিপাড়া মহল্লায় বাস করে। উভয়
আসামীর বিরুদ্ধে দুপচাঁচিয়া থানার মামলা নং-২১,৯ (৪)(খ) ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনীয় ২০০৩এর ধারায় মামলা রুজু করে বগুড়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।