ঠিকাদারের কাছে জিম্মি ৫ হাজার মানুষ: দেখার কেউ নেই

দেশবাণী
Spread the love

পটুয়াখালী থেকে রাজীব রহমান : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় কাটাখালীর খালটি ২ বার খনন কাজ সম্পন্ন হলেও স্বস্তি ফিরে পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। আগের মতোই নৌকা ট্রলার যাতায়াত অযোগ্য হয়ে আছে খালটি। যা এতদিন বন্ধ ছিল। এখনও বন্ধ। পলি মাটিতে ভরাট হয়ে আগাছার দখলে ছিল খালটি। নব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌকা ট্রলার চলাচলের পথ সুগম করার দাবি ছিল এলাকাবাসীর।
সরেজমিন ঘুরে দু পাড়ের মানুষের প্রতিক্রিয়ায় জানা গেছে, “কাটাখালীর খাল” নৌকা ট্রলার যাতায়াতে একটি গুরুত্বপুর্ন নৌ-পথ। যার উপর ভরশা করে দু পারের অন্তত ৫ হাজার মানুষ। সে খালটি পলি মাটিতে ভরাট হয়ে আগাছার দখলে গিয়ে নৌকা ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিল ৪ বছর। পাকা রাস্তা ঘাট না থাকায় বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তিতে ছিল দু পারের মানুষ সহ গোটা এলাকা। যা সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে খনন কাজ শুরু করে ঠিকাদার। এলাকাবাসীর দাবি ছিল,খালটি খনন করে আগাছা মুক্ত করা। গত বছর খালটির খনন কাজ শুরু হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খনন কাজ সমাপ্ত ঘোষনা করে ঠিকাদার খালটি সর্বসাধারনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেও সঠিক মাপে খালটি খনন করা হয়েছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। জবাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস,ও সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা মিজানুর রহমান বলেন,আমরা প্রাথমিক মাপযোগ সম্পন্ন করেছি। এ প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠাবো। সেখান থেকে কর্মকর্তারা এসে চুড়ান্ত মাপযোগ করবেন। এলাকাবাসী জানান, চুড়ান্ত মাপে দেখা গেলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্কীম অনুযায়ী খালটি খনন না করেই কাজ শেষ করে দিয়েছিলেন ঠিকাদার। পানি উন্নয়ন বোর্ড আদেশ দিলেন পূনঃখনন করতে হবে ! বর্ষা মৌসূম শুরু হয়ে যাওয়ায় গত বছর আর খনন কাজ করতে পারেনি। নির্দেশনানুযায়ী এবছর আবার পূনঃখননের কাজ শুরু করলেও অজানা কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে আমাদের দূর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এই খালটিতে পর্যাপ্ত পানি ওঠা নামা করতে না পারায় জমি চাষাবাদে ভোগান্তিতে ছিলাম ৪ বছর। যাতায়াতও ছিল বন্ধ। মশা মাছির উপদ্রব এতটা বেড়ে গিয়েছিল যে বাড়িতে টেকাও মুশকিল হয়ে পরেছিল। সামনেই বর্ষা মৌসূম গত বছরের ন্যায় এবছরও যদি খনন কাজ শেষ না করে এভাবে বাঁধ দিয়ে খালটি পরিত্যাক্ত রাখা হয় তবে আগের চেয়েও ভোগান্তিতে পরতে হবে আমাদের। আমরা এখন ঠিকাদারের কাছে জিম্মি। ভাড়ায় চালিত নৌকা মালিক রাকিব ও হাসিব বলেন, এতদিন নৌকা চালাতে না পেরে খুব অভাবে দিন কাটাচ্ছি। আশায় ছিলাম খাল কাটা হলে আবার শুরু করব। কিন্তু আমাদের দুঃখ দুঃখই থেকে গেলো। দেখার যেনো কেউ নাই। খালটি এভাবে পরে থাকলে আমাদের অনাহারে থাকতে হবে। শিঘ্রই খনন কাজ শেষ করে খালটি উন্মুক্ত করে দেয়া হোক এটাই এখন এলাকাবাসীর দাবী। এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।