টাকা-ক্ষমতা কিচ্ছু না, বুঝিয়ে দিলো করোনা

বিনোদন
Spread the love

করোনা ভাইরাসে আজ কাঁপছে সারা বিশ্ব। কোনো টাকা পয়সা, ক্ষমতা, শক্তি-সামর্থ্য কিছুই কাজে আসছে না। সামান্য এই ভাইরাসের কাছে আজ অসহায় মানুষ।

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজার পত্রিকায় এক আর্টিকেলে এ কথা লিখেন।

প্রসেনজিৎ লিখেন, ‘ভাবিনি, কোনও দিন এ রকম পয়লা বৈশাখ কাটাতে হবে। শুধু বাঙালি হিসেবে নয়, সারা বিশ্ব এই করোনার ত্রাসে কেঁপে উঠছে। না দেখা, না চেনা ‘বায়োলজিক্যাল ওয়ার’। কী ভয়ানক যুদ্ধ! এই যুদ্ধে আমি আমার শত্রুকে চিনি না। ওই যে লোকে বলে, ‘আই অ্যাম সুপ্রিম! আমার অনেক টাকা আছে!’ এ সব টাকা, ক্ষমতা কিচ্ছু না, বুঝিয়ে দিল এই করোনা, এই নববর্ষ। দুজন আছেন— একজন ঈশ্বর, আর একজন প্রকৃতি। তারাই পারবেন কিছু করতে।’

তিনি আরো লিখেন, ‘এখন কী করছে সারা বিশ্বের মানুষ? ঈশ্বরকে ডাকছে। অনেক সময় দিতে পারছি আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার। আর প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে আমাদের।’

‘কখনও মনে হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে বলি, এই করুন, এটা মানুন। সবাই সব জানেন। তবু বলব, অথরিটি যা বলছেন সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে মানা উচিত।’

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই মনে হচ্ছে, আমরা সবাই বর্তমান নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলা উচিত এখন। খুব কঠিন লড়াই আসছে। যে যে প্রফেশনেই থাকুক না কেন, কঠিন লড়াই লড়তে হবে সব্বাইকে। আর এই লড়াইয়ের অস্ত্র প্রেম, মানুষের প্রতি ভালবাসা।’

‘সামনের মানুষটাকে নিয়ে ভাবতে হবে। প্রত্যেক মানুষ যদি এইভাবে ভাবতে পারে, লড়াইটা সহজ হবে। এই ভালোবাসাটা আমরা ভুলে গিয়েছিলাম। আমরা তো নিজেদের স্বার্থ নিয়ে এত দিন ছুটছিলাম। ছুটেই যাচ্ছিলাম! অন্য কারও কথা ভাবার সময় কোথায় আমাদের? এই ছুটতে গিয়ে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছিলাম আমরা!’

‘পাশের মানুষটা পাশের ঘরে থাকলে উঠে গিয়ে কথা বলি না আর। হোয়াটসঅ্যাপ করি। আর তো সেই চিঠির গন্ধ পাই না! চিঠি আসার অপেক্ষাও নেই। লকডাউনের পরবর্তী জীবন হয়তো এইগুলো থেকে আমাদের সরিয়ে আনবে।’