আগামী ২৫ এপ্রিল সরকারি ছুটির সময় শেষ হওয়ার পর গার্মেন্টস কারখানা খোলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত থাকলেও বাস্তবতা বিবেচনায় সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন মালিকপক্ষ।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকা কারখানাগুলো আপাতত খোলা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে এ ইস্যুতে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ একটি প্রেস রিলিজও দিয়েছে। এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে কারখানা খুলে দেওয়া হবে। এই মুহুর্তে প্রথম ও একমাত্র অগ্রাধিকার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৫ এপ্রিলের সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে ধাপেধাপে কারখানা খোলার বিষয়টি বিজিএমইএতে আলোচনা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন, প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও তাদের বীমা সুবিধার আওতায় এনে একটি প্রটোকল তৈরির মাধ্যমে কারখানা চালু করার বিষয়ে চিন্তা করে মালিকপক্ষ। এ লক্ষ্যে দূর দূরান্তের শ্রমিকদের কারখানায় আনার জন্য পরিবহন সুবিধা চেয়ে বৃহস্পতিবারের বিটিআরসিকে অনুরোধ জানানো বিজিএমইএর দেওয়া একটি চিঠিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা ভাইরাসের জন্য সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে মানুষের চলাচল আরো সীমিত করার নির্দেশনা জারি করে।
বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর এখন আর ওই চিঠির কার্যকারিতা নেই।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক ইত্তেফাককে বলেন, অর্থনীতির স্বার্থে কারখানা চালু করা দরকার। কিন্তু তা শ্রমিকের জীবনের বিনিময়ে নয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আমরা কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেব।
সরকারের ছুটির মধ্যেও অবশ্য দেশব্যাপী বেশকিছু শিল্প কারখানা চালু রয়েছে। এর বেশিরভাগই গার্মেন্টসের বাইরে টেক্সটাইলসহ অন্যান্য কারখানা। শিল্পাঞ্চল পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, তাদের আওতাধীন ৭ হাজার ৬০২টি কারখানার মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালু ছিলো ৪৩৯টি কারখানা।