করোনা মহামারির ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। কারণ এ সংক্রান্ত টিকার কার্যক্রম বেশ কয়েকটি দেশে এখন বিলম্বিত হতে চলেছে।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপ জুড়ে এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে এমএমআর ভ্যাকসিন গ্রহণের পরিমাণ কমে গিয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য হামমুক্ত অবস্থান হারিয়েছে।
হাম হচ্ছে ভাইরাসজনিত একটি রোগ। এর কারণে কাশি, ফুসকুড়ি এবং জ্বর দেখা দেয়। সাধারণত আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশি থেকে আশপাশের সুস্থ মানুষের শরীরে এটি ছড়িয়ে পড়ে। শিশুরাই হামে বেশি আক্রান্ত হয়। তবে বড়দেরও হাম হতে পারে।
হামের প্রতিষেধক হিসেবে বড়দের জন্যও এমএমআর ভ্যাকসিন রয়েছে। এ ভ্যাকসিন দেওয়া না থাকলে হাম হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। হাম অত্যন্ত সংক্রামক একটি রোগ।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, যে সব দেশে হামের উপদ্রব নেই, সে সব দেশ করোনা মহামারির কারণে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে পারে।
করোনা মহামারির কারণে ইতোমধ্যে এমন ২৪টি দেশ তাদের টিকা কার্যক্রম দেরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসব দেশ হলো- বাংলাদেশ, ব্রাজিল, বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, চাদ, চিলি, কলম্বিয়া, জিবুতি, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, হন্ডুরাস, কাজাখিস্তান, কিরগিজস্তান, লেবানন, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, নেপাল, নাইজেরিয়া, প্যারাগুয়ে, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইউক্রেন এবং উজবেকিস্তান।
ইউনিসেফ বলছে, ৩৭টি দেশের ১১৭ মিলিয়ন শিশু সময়মতো হামের টিকা দিতে পারেনি। সূত্র: বিবিসি