আ’লীগের ভোট সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছে ইসি, ইসিতে বিএনপির প্রতিনিধি দল

রাজনীতি
Spread the love

বাংলাবাণী ডেস্ক ঃ  ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট সুরক্ষার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন পালন করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ অভিযোগ করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে যেসব আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সমাধানও হয়নি। উল্টো আচরণবিধি আরও বেশি আকারে লঙ্ঘিত হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা হচ্ছে, যা সরাসরি আচরণবিধির লঙ্ঘন। নির্বাচনের দু’দিন আগে এ ধরনের জনসভা করার কোনো সুযোগ নেই।

নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে বলা হলে তারা বলছেন, এ বিষয়ে তারা অবগত নন। নির্বাচন কমিশন ওয়াচ ডগ হিসেবে জনসভা করার বিষয়টি না জানা দুঃখজনক। ওই জনসভায় দক্ষিণের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থক-কর্মীরা বড় বড় পোস্টার-ব্যানার নিয়ে মিছিল করছে।

তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, দৃশ্যমান কিছু না হলে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। কিন্তু গ্রেফতার শুরু হয়ে গেছে। গতকাল (বুধবার) রাত থেকে গ্রেফতার চলছে। বিএনপির দুই প্রার্থীর ওপর হামলার বিষয়ে তারা প্রমাণ পাচ্ছে না। যেখানে টেলিভিশনে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবাই দেখেছে কীভাবে বিএনপির প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ একা নির্বাচন করেও কেন্দ্র ও বুথ দখল করেছে। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগের রাতে, নির্বাচনের দিনও কেন্দ্র দখল করেছে। গোটা দেশ তা দেখেছে। বিভিন্ন মেয়র নির্বাচন, চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের লোকজন কীভাবে কেন্দ্র দখল করেছে সেটা পুরো দেশ দেখেছে। এ বিষয়গুলো তো তাদের মনে কাজ করে।

সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপি জয়ী হবে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, বিজয়ী হব বলেই নির্বাচনে এসেছি। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে বিএনপি বিশাল ভোটের ব্যবধানে জিতবে। এ জন্যই নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। এখনো ৪৮ ঘণ্টা সময় আছে। যদি নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তাহলে পরিবর্তন সম্ভব। সদিচ্ছা থাকলে জনগণের ভোট জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার সময় আছে।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।