অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার চেতনায় বগুড়ায় চর্চা একাডেমির’ লালন সন্ধ্যা

দেশবাণী
Spread the love

বাংলা বাণী:
বগুড়া শহরের সাতমাথায় মুজিবমঞ্চে চর্চা সাংস্কৃতিক একাডেমির আয়োজনে লালন সন্ধ্যায় মাতলেন শ্রতা দর্শকরা। সাধক লালন সাঁইজির মানবতার গান গেয়ে চর্চা সাংস্কৃতিক একাডেমির শিল্পীরা মুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। দীর্ঘসময় লালন ভক্তরা লালন সাঁইজির সঙ্গিত উপভোগ করেন।
শনিবার অনুষ্ঠিত লালন সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাফুজুল ইসলাম রাজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট বগুড়ার সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক। লালন সন্ধ্যায় সংঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় কণ্ঠশিল্পী মুহূর্ত সরকার, কণ্ঠশিল্পী জেরিন তাসনিম ও কণ্ঠশিল্পী মার্জিয়া তাবাসসুম কে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুল আউয়াল।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মানবতার লোকজ ঐতিহ্য লালন শাহ’র গান। মানুষকে মানুষ ভেবে মানুষের সেবার মধ্যে দিয়ে তিনি পরমকে খুঁজেছেন। লালন শাহ্ সারাজীবন মানব ধর্ম নিয়ে কাজ করে গেছেন। লালনের কাছে মানবতায় ছিল আসল ধর্ম। মানবতার ধর্ম প্রকাশ করার জন্য লালন সারাজীবন গান গেয়েছেন। সম্প্রীতির যে বন্ধনের কথা বলা হয়। তা আজ থেকে প্রায় দুইশত বছর আগে বলেছেন লালন সাঁই। সম্প্রীতির বন্ধনের কথা বলে সমাজে তিনি শান্তি ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। অসম্প্রদায়িক যে চেতনা যে লক্ষ্য সেসব লালনের গানের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি মানবতার কথা বলে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। বাঙালির সাংস্কৃতিক নির্দেশক হিসেবে লালনের গানগুলো আজও প্রচলিত রয়েছে। লালন মানবতার গান গেয়েছেন। লালন সব সময় অসাম্প্রদায়িক গান করে গেছেন। চর্চা সাংস্কৃতিক একাডেমি শিল্পীরা আরও ভালো কাজ করা যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।