সহশিক্ষায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এণ্ড কলেজ

দেশবাণী
Spread the love

বাংলা বাণী:
বগুড়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুলিশ লাইন্স স্কুল এণ্ড কলেজ ফলাফলেই শুধু নয়, সহশিক্ষাতেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। এবার মহান স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে তিনটি প্রথম পুরস্কারসহ ৪টি পুরস্কার পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গত বিজয় দিবসেও চারটি পুরস্কার পায় তারা।
প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় সেখানে। চারজন শিক্ষক যথাক্রমে আয়েশা সিদ্দিকা, মাসুকুর রহমান সুরুজ, আব্দুল বাছেদ ও খোরশেদ আলম বাবু সার্বক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীদের শরীর চর্চা, ক্রীড়া, নৃত্যসহ নানা ধরণের সহশিক্ষা কার্যক্রম তদারকি করেন। একারণে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সফলতা লাভ করছে। বিগত ২০১৮ সালে জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেটে এবং ২০১৯ সালে ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় পুলিশ লাইন্স স্কুল এণ্ড কলেজ। এছাড়া স্বাধীনতা কাপ ক্রিকেটে পর পর চার বার জেলায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। ক্রীড়াঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের ফলেই এখান থেকে শফিউল ইসলাম সুহাস ও তৌহিদ হৃদয়ের মতো জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার বেরিয়ে এসেছে। এছাড়া ফুটবল কিংবদন্তি জিনেদি জিদানের আমন্ত্রণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফুটবল খেলোয়াড় ৬জন শিক্ষার্থী ২০০৮ সালে ফ্রান্সে যাওয়ার সুযোগ পায়। বগুড়ায় দীর্ঘদিন হকি খেলা বন্ধ থাকলেও পুলিশ লাইন্স স্কুল এণ্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন পুরোদমে হকি খেলাও শুরু করেছে। সহশিক্ষায় শুধু খেলাধুলাতেই নয়, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য লাভ করছে এখানকার শিক্ষার্থীরা।
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু জানান, শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পড়াশোনার মাঝে ব্যস্ত রাখলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সম্ভব নয়। একারণেই তাদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বগুড়ার পূর্ববর্তী পুলিশ সুপারদের মতোই বর্তমান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সহযোগিতা এবং শরীর চর্চা, স্কাউট, চারু-কারুকলা ও রেড ক্রিসেন্টের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের আন্তরিকতাতেই মূলতঃ ধারাবাহিকভাবে সহশিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্য এনে দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বরাবরই সহশিক্ষা কার্যক্রমে ভালো ফলাফল করছে। কারণ ভর্তির পর থেকেই তারা এমন একটি আবহে বেড়ে উঠছে যেখানে তাদের জানানো হচ্ছে শুধুই পাঠ নয়, পাশাপাশি শরীর গঠন এবং মানসিক বিকাশও জরুরি। একারণে তারা সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত ও উপস্থাপন করতে পারছে। এটা সম্ভব হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের আন্তরিকতার জন্য। সেখানে পরিচালনা পর্ষদ সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। তবে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরাও এখানে বড় ভূমিকা রাখছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।