সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ: ডিজির তদন্ত কমিটি গঠন

দেশবাণী
Spread the love

সাব্বির হাসান, গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া গাবতলীর ৫২নং মহিষাবান পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ আত্মসাত ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। গত বছরের ১৩ডিসেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগটি করেন মোঃ হেলাল, সাকু, রনিসহ ৭জন ব্যক্তি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারী/২৩ তারিখে ডিজি অফিস সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দিয়েছেন ডিপিও বগুড়াকে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, মহিষাবান পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন অত্র বিদ্যালয়ের ২৪ শতক জমি প্রায় ১৭বছর ধরে ভোগ দখল করে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু তিনি ওই জমিতে উৎপাদিত ফসলের কোন অংশ বিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা না দিয়ে সমস্ত অর্থ এতো দিন ধরে আত্মসাত করেছেন। তিনি নিজের ইচ্ছামতো বিদ্যালয়ে আগমন এবং প্রস্থান করেন। তিনি শ্রেণী কক্ষে ঠিক মতো পাঠদান করান না। যদিও ভুল করে করান সে সময় পাঠটিকা ও শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করেন না। এছাড়াও শিক্ষক হাজিরা খাতায় সময় মতো স্বাক্ষর করেন না। কয়েক দিনের স্বাক্ষর একদিনে করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বিষয়গুলি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থার নেওয়ার জোর দাবী অভিযোগকারীদের।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারী/২৩তারিখে ডিজি অফিস সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বগুড়ার ডিপিওকে চিঠি ইস্যু করেন। এর প্রেক্ষিতেই ১৬ই ফেব্রুয়ারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত একপত্রে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী অভিযোগের সমর্থনে প্রমানাদিসহ অভিযোগকারী এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদস্য, প্রধান শিক্ষক, অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষককে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের বিষয়টি অবগত হয়েছি। তিনি একপ্রশ্নের জবাবে বলেন, তদন্তের দিন আসবেন, তাহলেই বিষয়টি জানতে পাবেন।