রাণীনগরের যাত্রী ছাউনিগুলো প্রভাবশালীদের দখলে \  বিড়ম্বনায় যাত্রী সাধারণরা

দেশবাণী
Spread the love

সুূদর্শন কর্মকার, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে অবস্থিত অধিকাংশ যাত্রী ছাউনিগুলো প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেলেও নীরব ভ’মিকায় প্রশাসন। এতে করে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অপরদিকে যানবাহনের জন্য রাস্তায় এসে বিশ্রামের জায়গা না পাওয়ায় চরম
বিপাকে যাত্রী সাধারনরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করজগ্রাম এলাকার খাঁনপুকুর তিনমাথা মোড়ে অবস্থিত যাত্রী ছাউনিটি স্থানীয় প্রভাবশালী আমজাদ মন্ডল নামের একব্যক্তি দখল করে মিল তৈরি করছেন। ইতিমধ্যেই ওই যাত্রী ছাউনির সামনে নতুন করে টিনের ছাউনি তৈরি, সামনে অংশে ঢালাই ও ইট দিয়ে
প্রাচীর দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে পরবর্তি সময়ে এই যাত্রী ছাউনিটি ব্যবহারের আর কোন সুযোগ থাকছে না। বিশেষ করে প্রচন্ড রোদে কিংবা বর্ষা মৌসুমে কোন যাত্রী রাস্তায় এসে এই যাত্রী ছাউনিতে আর আশ্রয় নিতে পারবে না। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা যাত্রী ছাউনিগুলোর প্রতি প্রশাসনের সঠিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অবৈধ দখলের শিকার হয়ে পড়ে আছে। যদি নতুন করে এই যাত্রী ছাউনিগুলো সংস্কার করা হয় তবে যাত্রীরা আবার এই যাত্রী ছাউনিগুলো প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করতে পারতো।
উপজেলার রাতোয়াল গ্রামের যাত্রী মকবুল হোসেন বলেন দীর্ঘদিন যাবত এই যাত্রী ছাউনিগুলোর কোন সংস্কার না করার জন্য তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার কারণে যাত্রীরা যাত্রী ছাউনিগুলো ব্যবহার করতে পারছে না। ফলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সুযোগ বুঝে যার যার মতো করে দখল করে নিচ্ছে। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা যাত্রী ছাউনিগুলো নতুন করে আধুনিকায়ন করতো তাহলে দূর-দূরান্তে গমনকারী যাত্রীরা এই যাত্রী ছাউনিগুলোতে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম নিতে পারতো।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূ’মি) মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন খাঁনপুকুরসহ অন্যান্য যাত্রী ছাউনিগুলো উপজেলা প্রশাসনের আওতায় কিনা সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সেগুলো অবৈধ দখলের হাত থেকে মুক্ত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জেলা পরিষদের সচিব গোলাম শাহনেওয়াজ বলেন জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানের যাত্রী ছাউনিগুলোর মধ্যে অনেকগুলো জেলা পরিষদের আওতায় আবার অনেকগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং উপজেলা প্রশাসনের আওতায় রয়েছে। তবে রাণীনগর উপজেলার বেদখল হওয়া যাত্রী ছাউনিগুলো যদি জেলাপরিষদের আওতায় হয় তাহলে সেগুলো বেদখলের হাত থেকে মুক্ত করতে এবং সেগুলো আধুনিকায়ন করতে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।