রওশনের বাসায় জিএম কাদের ও চুন্নু

বাংলাদেশ
Spread the love

বাংলা ডেস্ক:
জাতয়ি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে নিয়ে তিনি রওশনের গুলশানের বাসায় যান। ঘণ্টাখানেক তারা সেখানে অবস্থান করেন।
বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন, ‘উনি (রওশন এরশাদ) বাসায় উঠেছেন। এ জন্য উনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন জি এম কাদের। তাঁদের মধ্যে ঘণ্টাখানেক কথা হয়েছে। রওশন এরশাদের ছেলে জাপার যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগীর আলমাহি এরশাদ সাদও ছিলেন।
রওশনপন্থীদের সূত্রের ভাষ্য, বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন নিয়েও কথা হয়েছে।

দলের নেতৃত্ব ও নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘ওইভাবে আলাপ না হয়নি। তবে দলের সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা দলে আছি, ওনার কো-অপারেশনও থাকবে।’ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে সঙ্গে তিনি রওশন এরশাদের বাসায় যান এবং সেখানে ঘণ্টা দেড়েক অবস্থান করেছেন বলে জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
চুন্নু বলেছেন, তিনি জি এম কাদেরকে বলেছেন, ‘যা করো, আমাকে জানিও করো।’ জি এম কাদেরও বলেছেন, জানাবেন। দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হতে বললে সাদ বলেন, ‘চাচা যেখানে ডাকবেন, সেখানেই যাবেন।’’

আগামী ১ জানুয়ারি জাপার ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেদিন কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠান করবে জাপা। একই দিনে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে রওশনপন্থীরা । সূত্রের দাবি, ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে কাকরাইলে যেতে রওশনকে অনুরোধ করেছেন জি এম কাদের। তবে রওশন জানান, অসুস্থতার কারণে যেতে পারবেন না। পরে তিনি জি এম কাদেরকে বলেন, ‘তুমি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেও।’
দলের নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এবং জি এম কাদেরের বিরোধ জাপার প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবদ্দশা থেকেই চলছে। তাঁর মৃত্যুর পর বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে দেবর-ভাবীর দ্বন্দ্বে দল ভাঙার উপক্রম হয়। এরপর প্রায় তিন বছর স্থিতাবস্থা চললেও, জি এম কাদের বিএনপির সুরে কথা বলছেন অভিযোগ করে গত আগস্টে রওশন কাউন্সিল ডাকলে ফের বিরোধ চরমে পৌঁছে। এরপর রওশনকে বিরোধীদলীয় নেতার পদছাড়া করতে চেয়েও সরকারের কারণে পারেননি জি এম কাদের। স্পিকারের স্বীকৃতি পাননি। উল্টো রওশনপন্থীদের মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞায় রাজনীতি থেকে দূরে চলে যেতে হয়েছে জাপা চেয়ারম্যানকে। পাঁচ মাস থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে গত ২৭ নভেম্বর দেশে ফেরেন রওশন। দুদিন পর তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জি এম কাদের। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। বরং ৩০ নভেম্বর রওশনপন্থীদের আপিলে ফের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন জি এম কাদের।