যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

আন্তর্জাতিক
Spread the love

ডেস্ক :
আগের দফায় লিজ ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে গেলেও এবার বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক। খবর বিবিসির।
রোববার স্থানীয় সময় রাতে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন বরিস জনসন। এরপর শুধু ঋষি সুনাক ও পেনি মর্ডান্ট এ লড়াইয়ে অবশিষ্ট থাকেন। কিন্তু সোমবার পেনি মর্ডান্টও নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এতে করে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ঋষি সুনাক।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মোট ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা রয়েছেন। তাদের ১৪২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাককে সমর্থন করেন।

তবে সুনাক আনুষ্ঠানিকভাবে কখন প্রধানমন্ত্রী হবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিবিসির সাংবাদিকরা বলছেন, হয়তো আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ঋষি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

সুনাকের বাবা যশবীর ও মা ঊষা – দুজনেরই জন্ম ভারতের পাঞ্জাবে। ভালো কাজের সুযোগে ও পড়াশুনোর জন্য তারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। যশবীর সুনাক ব্রিটেনে একজন জিপি (জেনারেল প্র্যাকটিশনার) ডাক্তার হিসেবে ও ঊষা সুনাক ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।

মেধাবী ছাত্র সুনাক আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে এমবিএ-ও করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুনাক ব্রিটেনের চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার (অর্থমন্ত্রী) হন। সুনাকের আর একটা পরিচয় হল, তিনি ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির জামাতা। নারায়ণমূর্তির কন্যা অক্ষতার সঙ্গে তার আলাপ স্ট্যানফোর্ডেই, পরে তারা দু’জনে বিয়ে করেন।

রাজনৈতিক জীবনে ২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ হন ঋষি সুনাক। থেরেসা মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ‘লোকাল গভর্নমেন্ট’-এর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। আর ২০১৯ সালে বরিস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার গুরুত্ব আরও বাড়ে। এরপর সরাসরি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। বর্তমানে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টিতেও জনপ্রিয় মুখ তিনি। এদিকে তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সুনাকের।