মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও রুটের সব স্টেশন চালু

বাংলাদেশ
Spread the love

বাংলা ডেস্ক :
মেট্রোরেলের অষ্টম ও নবম স্টেশন হিসেবে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন চালু হয়েছে। এ নিয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের মেট্রোরেলের নয়টি স্টেশনের সবই চালু হলো।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন দুটির গেট খোলা হয় এবং সাড়ে ৮টার পর থেকে ট্রেন থামতে শুরু করে। এখন থেকে সবকটি স্টেশনেই থামবে মেট্রোরেল।

এছাড়া আগামী ৫ এপ্রিল শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল; আর ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে জুলাই থেকে।

এর আগে, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ ডিসেম্বর এটি সর্বসাধারণকে নিয়ে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে। সেসময় মেট্রোরেল শুধু উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশনের মধ্যে চলাচল করতো।

পরে পর্যায়ক্রমে ২৫ জানুয়ারি মেট্রোরেলের পল্লবী স্টেশন, ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন, ১ মার্চ মিরপুর-১০ স্টেশন, ১৫ মার্চ কাজীপাড়া ও মিরপুর ১১ এবং সর্বশেষ আজ চালু হলো উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন।

উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া যথাক্রমে ২০ টাকা ও ৪০ টাকা। অন্যদিকে আগারগাঁও থেকে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া যথাক্রমে ৪০ টাকা ও ২০ টাকা।

ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। ২০১২ সালে এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অর্থাৎ দ্বিতীয় অংশ ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।

এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়।

এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আর সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।