বুলবুলের অভিযোগের শেষ নেই, লিটন বলেছেন ভোট শান্তিপূর্ণ হবে

জেলার খবর
Spread the love
শেষ সময়ে ছুটির দিন শুক্রবার প্রতিকূল আবহাওয়া বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে নির্বাচনী প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শনিবার রাত ১২টায় বন্ধ হচ্ছে সব ধরণের নির্বাচনী প্রচারণা। আর একদিন পরই শেষ হচ্ছে ভোটের অপেক্ষা।
এদিকে ভোট গ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসায় নির্বাচনী কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে মাঠে নামছে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি। নগরীতে যানবাহন ও অস্ত্র নিয়ে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
অন্যদিকে শেষ সময়েও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা। বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের অভিযোগের শেষ নেই। সরকার, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী কর্মকর্তা, পুলিশ, সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী সকলেই বিরুদ্ধেই তার বিস্তর অভিযোগ। তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, বিএনপির অভিযোগ মানেই মিথ্যাচার আর অপপ্রচার। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলীয় নেতারা প্রচারণার শুরু থেকে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ও পরিকল্পিত গুজব, রটনা ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। তাদের কর্মকাণ্ড ইতোমধ্যে রূপকথার গল্পকেও হার মানিয়েছে। তারা নিজেদের পথসভায় বোমা হামলা চালিয়ে ধরাও পড়েছেন। এখন আর তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করছে না।
জনগণ নৌকার পক্ষে বিপুল রায় দেবে : লিটন
শুক্রবার সকালে নগরীর সাহেববাজার কাঁচাবাজারে, দুপুরে নগরীর জাহাজঘাট জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জাহাজঘাট, ধরমপুর, খোজাপুর ও তালাইমারি মোড়ে, বিকেলে সাহেব বাজার বড়মসজিদে আসরের নামাজ আদায়ের পর বড়কুঠি ও কুমারপাড়ায় গণসংযোগ করেন খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি জনগণ বিপুলভাবে নৌকার পক্ষেই রায় দেবে, রাজশাহীতে ইতিহাস সৃষ্টি হবে। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি নির্বাচনে সেনা মোতায়নের পরিবেশ হয়নি।
সকল নির্বাচনী সন্ত্রাস রুখে দেওয়া হবে: বুলবুল
রাসিক নির্বাচনে ৯০ শতাংশ প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার আওয়ামী লীগ ‘ঘরানা’র দাবি করে ‘নিরপেক্ষ লোকদের’ নিয়োগের পাশাপাশি আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। শুক্রবার নগরীর লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজারে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে তিনি আরও বলেন, তাদের মাধ্যমে আগের রাতে নৌকায় সিলমারা ব্যালট ভোটকেন্দ্রে লুকিয়ে রাখার হবে। রাজশাহীর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ চায় শান্তি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাজশাহীর মানুষ চায় ধানের শীষ। রাজশাহীর মানুষ চায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি।’
১৩৮টি কেন্দ্রের ১১৪টিই ঝুঁকিপূর্ণ
রাসিক নির্বাচনে ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্র্ণ) ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের অবকাঠামোগত অবস্থা, জনসংখ্যা, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ সরবরাহসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ১১৪টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রেই র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মোতায়নের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।