বাংলা ডেস্ক :
টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের নিয়ে ইজতেমার এ পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর পাকিস্তানের মাওলানা হারুনের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। এই বয়ান বাংলায় তরজমা করেন কাকরাইল মসজিদের মাওলানা আজিম উদ্দিন। আসরের পর কাকরাইলের ভাই ওয়াসিফুল ইসলাম এবং মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার বয়ান করেন। তিনি আরও জানান, লাখ লাখ মুসল্লি ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। বিকেল পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান ময়দানে অবস্থান করছেন। দেশ-বিদেশ থেকে মুসল্লির আগমন অব্যাহত আছে।
তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে কয়েক বছরের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে আলাদাভাবে। এর আগে রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় তাবলিগের প্রথম পক্ষ বা মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীদের ইজতেমা। দু’পক্ষের বিরোধের কারণে এবারও ভারতের নিজামউদ্দিন মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যদিও বুধবার মাওলানা সাদের তিন ছেলেসহ ১৪ জনের একটি জামাত ইজতেমা ময়দানে এসেছে।
ধর্মমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা মাওলানা যোবায়ের ও মাওলানা সাদপন্থিদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা নেই। সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সব কিছু ঠিক আছে। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও জিএমপির পক্ষ থেকে ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি র্যা ব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ মোতায়েন করা আছে।