একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ না নিলেও শপথ নেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ়। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেও ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ার বিষয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। তবে সরাসরি বিএনপি থেকে নির্বাচন করিনি।
‘ধানের শীষ ঐক্যফ্রন্টের প্রতীক। যেহেতু নির্বাচন করব, তাই এ প্রতীক নিয়েছিলাম’-যোগ করেন মনসুর।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তো সবাই আলাদা দল। আমাদের সিদ্ধান্ত ‘অবশ্যই পজিটিভ’ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মনসুর বলেন, ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিলেও সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের স্বাধীন চিন্তার অধিকার আছে। আমার এলাকার ভোটারদের কথা ভাবতে হবে। তারা কেন আমাকে নির্বাচিত করেছে। ধানের শীষ প্রতীকে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলে আইনি কোনো সমস্যা হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এটি কোনো সমস্যা হবে না।
বিএনপি যদি সংসদে যেত, আর আমি যদি তাদের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিতাম, সে ক্ষেত্রে সমস্যা হতো। এখন যেহেতু বিএনপি সংসদে যাচ্ছে না। তাই আমার শপথে কোনো সমস্যা হবে না। আমি তো গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছি। আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে সংসদে কথা বলার জন্য। তাদের জন্য কাজ করতেই আমাকে সংসদে যেতে হবে।
তিনি কোনো দলে যোগদান করেননি উল্লেখ করে সুলতান মনসুর বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে কেউ বের করে দেয়নি। আর আমি কোনো দলে যোগদানও করিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। গণফোরাম থেকে নির্বাচনে গেছি। কারণ গণফোরামে বঙ্গবন্ধুর চিন্তার মিল আছে।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, আমরা কখনও বলিনি শপথ নেব না। ড. কামাল হোসেনও বলেছেন- শপথ নেয়ার ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক। আর এটিই আমাদের কথা।
এর বাইরে অন্যরা কে কী বলছেন, তা আমি জানি না। সময় তো আছে, তাড়াহুড়ার কিছু নেই। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিলেই হবে। তিনি বলেন, জনগণ শত প্রতিকূলতায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমাদের নির্বাচিত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাকে ডাকে তা হলে চিন্তা করতে পারি। কারণ আমাকে তো আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।