বাংলাদেশিদের ডেঙ্গু পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল ত্রিপুরা সরকার

বাংলাদেশ
Spread the love

বাংলা ডেস্ক :
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার একাধিক এলাকা থেকে ডেঙ্গু সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সরকারি তথ্য মতে, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় ভ্রমণ করতে আসা নাগরিকদের স্থল সীমান্তে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। সোমবার থেকেই এই পরীক্ষা চালু হয়েছে।

ত্রিপুরার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিপাইজলার ধনপুর এলাকায় গত দুই দিনে অন্তত ৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক বিশাল কুমার বলেন, দুই দিনে ৭৫ ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের পরেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরেই, বাংলাদেশি নাগরিকদের রক্ত পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সেখানে বাংলাদেশি কেউ এলেই তার রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সোমবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে, সেখানের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কারো জ্বর হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে।

কারো জ্বর বা ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সিপাইজলা, পশ্চিম ত্রিপুরা এবং ধলাই জেলার অসংখ্য মানুষ হাসপাতালে জ্বর নিয়ে রক্তপরীক্ষার জন্য আসছেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

তারা জানান, সোনামুড়ার যে এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে সেখানের বাসিন্দাদের মশারি বিতরণ করাও হচ্ছে। দিনেও তাদের মশারির মধ্যে ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, শুধুমাত্র সোনামুড়াতেই নয়, সেখেরকূট এবং মোহনপুর এলাকাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওইসব এলাকাতে স্বাস্থ্য শিবির করাও হচ্ছে।