বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে- মজনু

দেশবাণী
Spread the love

বাংলা বাণী:
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চে স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষনে নিরস্ত্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। আমরা গর্ব বোধ করি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও বিজয় দিবস পালন হয় না, কিন্তুু বঙ্গবন্ধু আমাদের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিসব এনে দিয়েছে। তিনি সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলেন। ৭১ এর পরাজিত শক্তি আবারো চক্রান্ত শুরু করে। ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে জাতিকে গোটা বিশ্বের সামনে কলংকিত করা হয়েছিল। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা থেমে দিয়ে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করেছিল ঘাতকরা। ৭১ এর পরাজিত শক্তির সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। জাতিকে আবার শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করতে, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।
তিনি শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ জেলা শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিজয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন। শহরের সাতমাথা মুজিব মঞ্চে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীন। জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ জাকির হোসেন নবাব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ, শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম,কৃষকলীগের সভাপতি আলমগীর বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক মন্জু, মহিলা আ’লীগের সভাপতি হেফাজত আরা মিরা, সাধারণ সম্পাদক পিংকি সরকার, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, তাঁতী লীগের সভাপতি রাসেকুজ্জামান রাজন, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস। উপস্থিত ছিলেন লুৎফুল বারী বাবু, মনিরুজ্জামান মনির, গোলাম হোসেন, মামুনুর রশিদ, কয়েল ইসলাম, রুহুল আমিন বাবুল, মোহামদ আলি সিদ্দিক, শাহীন আলম,আবু বক্কর সিদ্দিক স্বাধীন, নাজমুল কাদির শিপন, মহিদুল ইসলাম, নুরুল আমিন শিশির, বনি ছদর খুররম,রেজাউল করিম রিয়াদ, নুরুন্নবী সরকার, আরিফুল হক বাপ্পী, সুলতান মন্ডল সজল, মশিউর রহমান মামুন, আবদুল্লাহ আল নোমান, গোলাম মুক্তাদির লেমন, সিরাজুল ইসলাম রতন, খালেকুন্নাহার পলি, প্রভাষক রাজু, মামুনুর রশিদ মামুন, রশ্মি স্বর্না, এনামুল হক, ওমর ফারুক ঝিনুক, সুলতান মাহমুদ প্রিন্স,মিনহাজুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম রাজু, মাসুদ রানা, ফেরদৌস জামান মুকুল, সোহানুল ইসলাম, রাসেল আমিন,পল্লী ফারুক, বিজয় শেখ।
এর আগে সকাল ৮ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, দুপুর ৩ টায় আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিজয় সমাবেশ, সন্ধ্যায় সকল বীর শহীদের স্মরনে বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারে মোমবাতি প্রজ্জলন, শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন শেষে সাতমাথায় বর্নিল আতসবাজির মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘটে।