বাংলাবাণী ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাটে প্রায় একযুগ ধরে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়ার পর তার পিতৃপরিচয়ের কোন হদিস মিলছে না।
বেলা তিনটার দিকে উপজেলার বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির হেফাজতে অবস্থায় মা ও নবজাতক শিশু কন্যাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসাসেবার জন্য ভর্তি করানো হয়।
জানা গেছে, উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে বৃহস্পতিবার ভোররাতে টহলকালীন সময়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ওই নারী প্রসব ব্যাথায় ছটফট ও চিৎকার করতে দেখে দ্রুত নারী -পুরুষ দুই পরিচ্ছন্ন কর্মীকে ডেকে নিয়ে তাদের হাতের হাতে তুলে দেন।
এরপর নারী পরিচ্ছন্ন কর্মী কুলসুমা বেগম তার সহকর্মী পুরুষ পরিচ্ছন্ন কর্মী হাফিজুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে গেলে ওই নারী সকাল ৮টার দিকে একটি ফুটফুটে শিশু কন্যা প্রসব করেন।বৃহস্পতিবার উপজেলার বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার যুগান্তরকে বলেন, আমরা খুবই হতাশ ও লজ্জাকর পরিস্থিতি পড়েছি, এমন একটি ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী সঙ্গে কে বা কারা এমন অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করে তার গর্ভে সন্তান ধারণ করিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,বিষয়টি আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেছি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, চিকিৎসাসেবার পর আপাতত মা ও নবজাতক শিশু কন্যা ভাল আছেন।
বৃহস্পতিবার তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি বললেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করতে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।,
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান যুগান্তরকে জানান, আপাতত দেখাশোনার জন্য বাদাঘাট এলাকার এক মহিলার হেফাজতে ওই শিশু কন্যাকে রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
