আমার জানাযার উপর পতাকা দেয়া যাবে না: কাদের সিদ্দিকী

বাংলাদেশ
Spread the love

টাঙ্গাইলের সখীপুরের সালাম সিদ্দিকীকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না দেওয়ায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘সখীপুর প্রশাসন সব চাইতে বেশি অন্যায় করল। তারা আবদুস সালাম সিদ্দিকীকে মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা দিতে পারলো না। আমি যেদিন মারা যাবো, আমার সন্তান যদি সন্তানের মত হয়, তাহলে আমার জানাযার উপর বাংলাদেশের পতাকা দেয়া যাবে না। মৃত্যুর আগে যে মুক্তিযোদ্ধারা কোনো সম্মান পায়না; মৃত্যুর পরে তাদের কোনো সম্মানের প্রয়োজন নাই। মৃত্যুর পর তাদের দরকার আল্লাহর দয়া।’

আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার শোলাপ্রতিমা দাখিল মাদরাসা মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম সিদ্দিকীর জানাযা নামাজের পূর্ব মুহূর্তে প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সালাম সিদ্দিকী কাদের সিদ্দিকীর দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখা যদি অপরাধ হয়ে থাকে, যে জন্যে সে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আজকে যাওয়ার পথেও বাংলাদেশের পতাকা পেল না। যারা এ কাজটি করেছে তারা ভবিষ্যতে বড় কষ্ট পাবেন। আল্লাহর তরফ থেকেই শাস্তি আসবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবদুস সালাম সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের সময় কাদেরিয়া বাহিনীর একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ’৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে অংশ নেয়ায় ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সর্বশেষ যাচাই প্রক্রিয়ায় (জামুকায় পাঠানো তালিকায়) উপজেলার ১০৪ জনের মধ্যে তাঁর নাম রয়েছে।

এর আগে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টায় তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু ওই যাচাই তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়ায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়নি। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানাযার নামাজে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আউয়াল সিদ্দিকী, পৌর মেয়র আবু হানিফ আজাদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমও গণি, অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।