
- বাংলা বাণী :
বগুড়ায় আলোচিত হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। খোকন মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকাট আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে। সে রেন্ট-এ কারের ব্যবসা করতো ও ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের সক্রিয় সদস্য ছিলো।
মামলার আসামীরা হলো ১- মুন্না পিতা ফটু সাং কৈচর। ২- সামিউল পিতা মো: খোকন সাং সেউজগাড়ী, বগুড়া নার্সিংহোম, ৩- রকি (৩২) পিতা শাজাহান সাং সেউজগাড়ী, রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন, ৪- সিয়াম (২৩) পিতা মো: আনোয়ার সাং সেউজগাড়ী রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন, ৫- সাগর (২৫) পিতা ছাইফুলসাং সেউজগাড়ী রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন, ৬- ধলা (২৪), ৭- মেহেদী (২১), উভয়ের পিতা মৃত ওকিমুদ্দিন, পালিত পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম মশো, সাং সেউজগাড়ী, রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন, ৮ – কাকন (২৫), পিতা মোজাফফর, ৯- মাহিন (২১), পিতা জিল্লার, সিউজগাড়ী রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন, ১০- শাহীন (২৬) পিতা আবু সাঈদ সাং কৈচর ১১–শাওন (২৫) পিতা আইনুল সেউজগাড়ী রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন। ১৩ – শুভ আল ইমরান (২৫), পিতা মৃত ছামছুল প্রাং, সাং নারুলী দক্ষিণপাড়া, ১৪ – রাশেদ (২২), পিতা আমজাদ, সাং জালশুকা, ১৫ – ফেরদৌস (২৪) পিতা শহিদুল ইসলাম, সাং চকলোকমান উল্কা মাঠ, উভয়ের থানা শাজাহানপুর। ১৬- মোঃ নান্টু (২৫) পিতা সাইদুল, সাং জামিলনগর। ১৭- মোঃ রাফিদ (২২), পিতা রানা সাং সেউজগাড়ী (পালপাড়া), সকলের থানা ও জেলা বগুড়া।
মামলায় উল্লেখ করেন, আমার স্বামী হাবিবুর রহমান খোকন (৩৭) পিতা শহরের সেউজগাড়ী এলাকার জনৈক পাভেলকে কিছু দুস্কৃতিকারী হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করলে আমার স্বামী ও তার বন্ধু বাধন (৩০), পিতা মৃত আ: রশিদ সাং ভাই পাগলার মাজার। গত ২৭ অক্টোবর রাত অনুমানিক ৮ টার সময় মোটর সাইকেল যোগে জনৈক পাভেলকে দেখার উদ্দেশ্যে শহরের সেউজগাড়ী, পালপাড়া, আনন্দ আশ্রমের উত্তর পার্শ্বে জনৈক আব্দুল সাত্তারের বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে পৌছা মাত্রই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী খুনি আসামীগণ তাদের হাতে রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, চাকু, লোহার রড ও মারাত্মক অস্ত্র সস্ত্রসহ পূর্ব ও পরিকল্পিতভাবে হ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন আসামী আমার স্বামীর মোটর সাইকেলের পথরোধ করে। পরে আমার স্বামী কারণ জিজ্ঞাসা করামাত্রই সকল আসামীগণ আমার স্বামী হাবিবুর রহমান খোকন ও জখমী বাধনকে এলোপাতারী মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে ২নং আসামী ছামিউল হুকুম দেয় যে, শালাকে মেরে শেষ করে ফেল। উক্তরুপ হুকুম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১নং আসামী মুন্না তার হাতে থাকা রাম দা দ্বারা আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে, উক্ত আঘাতে আমার স্বামীর মাথার পিছনে লাগে, গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ৩নং আসামী রকি তার হাতে থাকা ধারালো রাম দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে উক্ত আঘাতে মাথার পিছনে ডান পার্শ্বে লাগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত হাবিবুর রহমান খোকন ও বাধনকে অজ্ঞাত অটো রিক্সা যোগে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার হাবিবুর রহমান খোকনকে মৃত ঘোষণা করে। বাধনকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
বগুড়া সদর থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

