হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে নুহাশ পল্লীতে বৃহস্পতিবার কর্মসূচি

বিনোদন
Spread the love

১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এদিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দিনটি উপলক্ষে গাজীপুরের পিরুজালী এলাকার নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজন করা হয়েছে।

নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, দিনটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পবিত্র কোরআনখানি, বাদ জোহর মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। ভক্ত অনুরাগী ছাড়াও আশপাশের মাদ্রাসা এবং এতিমখানার শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই ছেলে নিনিত ও নিষাদকে সঙ্গে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে থাকবেন। তারা হুমায়ূন আহমেদের কবরের পাশে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করবেন। এদিনে প্রকাশক ও অনুরাগীদের আগমন ঘটবে নুহাশ পল্লীতে। হিমু পরিবহনের কমপক্ষে ৬০ সদস্যের একটি দল হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নুহাশ পল্লীতে আসবে।

ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল আরও জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হুমায়ূন আহমেদের হাতেগড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠেও অনুরূপ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এদিন বিদ্যালয়সংশ্লিষ্টরা বিদ্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জননন্দিত কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে তার অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মৃতদেহ ঢাকায় এনে ২৪ জুলাই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে তার প্রিয় নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।