শীত শেষে শুরু হয়েছে ফাল্গুন। ফাল্গুন শুরু হতে বাজারে বেড়েছে ডিম, মুরগি ও মাংসের দাম। তবে
করে এসব পণ্যের দাম বাড়ার তেমন সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছরই দামের এমন তারতম্য দেখা দেয়। অর্থাৎ ১৫-২০ টাকার এই দাম বাড়ায় প্রবণতা তাদের কাছে স্বাভাবিক।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরাবাজারে ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫ টাকা, কক মুরগি ২০ ও গরুর মাংস কেজিপ্রতি ২০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩ টাকা বেড়েছে।
এ ছাড়া মাছ ও সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও সহনীয় আছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম।
কারওয়ানবাজারে মুরগি, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রেতা নিজাম জানান, খুচরা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫, কক মুরগি ২০ টাকা এবং গরুর মাংস কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব পণ্যের দাম বাড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় সারা বছরই ১৫-২০ টাকা দামের ব্যবধান থাকে।
কারওয়ানবাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আরতি জান্নাত জানান, মুরগি, ডিম, মাছ, সবজি, তেল ও গরুর মাসের দাম বেড়েছে। আমি প্রথমে গরুর মাংস কিনতে গিয়েছিলাম। দাম বেশি দেখে ভাবলাম মুরগির মাংস কিনব। কারণ গরুর মাংসে চর্বি বেশি থাকায় খুব একটা খাওয়া হয় না।
তিনি বলেন, এখানে এসে দেখি দাম বেড়েছে। কয়েক দিন আগে বাড়ল চালের দাম। কেন দাম বাড়ে বুঝতে পারি না। সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে। সরকারের বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
নতুন বছরের শুরুতে বেড়েছে বাড়িভাড়া। তার ওপরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়ে চলছে। তাই রাজধানীর মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যয় বাড়লেও বাড়ছে না আয়। তাই দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এসব বাড়তি ব্যয় নিয়ে হতাশ সাধারণ মানুষ।

