বাংলাবাণী ডেস্কঃ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র মারুফ হোসেন রিয়াদ (১৬) খুনের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রধান আসামি মো. ফারুক হোসেনসহ (২৮) ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রধান আসামি ফারুক হোসেন কচুয়া উপজেলার মালছো গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে পিবিআই কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, ময়মনসিংহ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সকালে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাইন বাড়ির সামনে ফরিদ হোসেনের দোকান থেকে মারুফ হোসেন রিয়াদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রিয়াদের বাবা ফারুক মিয়া ওই দিন রাতে নামধারী ছয়জন ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
নিহত রিয়াদ হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ গ্রেফতার আসামিদের সোমবার চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি যুগান্তরকে বলেন, গ্রেফতার আট আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন- হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মকিমাবাদ জালাল উদ্দিন হাজীবাড়ির মুকবুলের ছেলে রাকিব (২২), হানিফের ছেলে রাব্বী (২১), মোস্তফার ছেলে সাকিব (২০) ও আবদুল মালেকের ছেলে রাকিব (২১), আবুল কাশেম, দোকানের মালিক ফরিদ হোসেন, চাচা শাকিল (১৮), সুইপার নুরুল আমিন।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, রিয়াদকে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়। তার হত্যা নিশ্চিত হওয়ার পর টয়লেটের ট্যাংকিতে গুম করে রাখার চেষ্টা করে খুনিরা। আর এ জন্য দুটি টয়লেট পরিষ্কার করে নুরুল আমিন।
আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় শনিবার দিবাগত রাত ১১টার পর ফুটেজে থাকা আটজনকে রোববার রাতে এবং মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই (তদন্ত) মোশারফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, রিয়াদ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
