প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারে প্রার্থীরা

বাংলাদেশ
Spread the love

প্রতীক বরাদ্দের পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরব হয়ে উঠেছেন। সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা মিছিল, গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ নানাভাবে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন। তবে এদিন রাজধানীর চিত্র ছিল ভিন্ন।

প্রার্থীদের সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ দেখা যায়নি। অনেকটা নীরবে প্রতীক সংগ্রহ করেছেন সব দলের প্রার্থীরা। এমনকি নির্বাচনী এলাকায়ও কোনো প্রার্থীর পক্ষে আনন্দমিছিল বা শোভাযাত্রাও হয়নি।

রাজধানীর বাইরে আনুষ্ঠানিক প্রচারের মধ্য দিয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাজ সাজ রব চোখে পড়েছে। ঢাকার বাইরে নির্বাচনী উৎসবের এ খবর জানিয়েছেন সমকালের ব্যুরো, অফিস এবং সংশ্নিষ্ট জেলা-উপজেলার প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা।

রাজশাহী: রাজশাহীর ২৫ প্রার্থী পেয়েছেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রতীক। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আবদুল কাদের তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক বরাদ্দের পরই শুরু হয়ে যায় ভোটের প্রচার। রাজশাহীর ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট শরিকরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ জেলার সব আসনেই বিএনপির একক প্রার্থী। তারা লড়ছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। এর বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা, বাসদ মই, সিপিবি কাস্তে, বিকল্পধারা কুলা, সাম্যবাদী দল চাকা, জাতীয় পার্টি লাঙ্গল এবং জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাপ ফুল নিয়ে নির্বাচন করছেন।

বাঘায় হযরত শাহ মোয়াজ্জেম ওরফে শাহদৌলা (রহ.) ও হযরত আবদুল হামিদ দানিশমন্দ (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে দলীয় প্রার্থী কারাবন্দি আবু সাঈদ চাঁদের পক্ষে নেতারা প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেন। বিকেলে শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন

বগুড়া: সন্ধ্যায় শহরে ধানের শীষের পক্ষে মিছিল বের করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চানের নেতৃত্বে মিছিল শেষে তারা বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন। এর আগে দুপুরে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর তার বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতিবিনময় করেন। প্রচারের প্রথম দিন বগুড়ার ধুনটে সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। বগুড়া-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী হাবিবর রহমানের সমর্থনে ধুনট পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মান্নান সোনাতলা পৌর এলাকায় দিনভর গণসংযোগ করেন। বিএনপি প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম সারিয়াকান্দি সদরে বিকেলে কর্মীসভা ও গণসংযোগ করেন। বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে বিকেলে সমাবেশ করেছেন। বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী মোশাররফ হোসেন তার গ্রামের বাড়ি বুড়ইলে গণসংযোগ করেছেন। বগুড়া-৭ আসনে দলীয় কার্যালয়ে সভা করেছেন বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন।

বরিশাল: বরিশাল-৫ (সদর) আসনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা। গতকাল দুপুর ২টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হল প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে প্রচার শুরু করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (হাতপাখা)। প্রায় একই সময়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম কালীবাড়ি সড়কে এবং বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার কাউনিয়ায় গণসংযোগ করে প্রচার শুরু করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে দলীয় নেতারা ছিলেন।

রংপুর: উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এনামুল হাবীব রংপুরের ছয়টি আসনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর পর পরই প্রচারে নেমে পড়েন প্রার্থীরা। দুপুর ২টার পর থেকেই প্রার্থীরা তাদের ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। সে সঙ্গে মাইকিংও চলছে সমানতালে। প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

রাঙামাটি: প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর রাঙামাটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন। এদিন তিনি কয়েকটি পথসভা ও আলোচনা সভায় যোগ দেন। এ সময় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় আবারও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এসব সভায় সাজেক থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গরেন্দ্র ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ফিরোজা বেগম চিনু এমপি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সুনামগঞ্জ: প্রতীক বরাদ্দের পরপরই সোমবার প্রকাশ্যে প্রচার শুরু করেছেন সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনের বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীরা। প্রথম দিনে দলের বিক্ষুব্ধ ও অভিমানী নেতাকর্মীদের সময় দিয়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী। কেউ কেউ মনোনয়নবঞ্চিতদের সঙ্গে নিয়েই প্রচারে নেমেছেন। সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় প্রার্থী নজির হোসেনের পাশে দাঁড়ালেন। সুনামগঞ্জ-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী নাছির উদ্দিন চৌধুরী এদিন প্রচার শুরু করেননি।

সুনামগঞ্জ-৩-এ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী সোমবার জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করেছেন। সুনামগঞ্জ-৪-এ বিএনপির প্রার্থী সাবেক হুইপ ফজলুল হক আছপিয়া সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিকেলে শহরতলির খাইমতর গ্রামে গণসংযোগ ও উঠোন বৈঠক করেছেন। রাতে তার বাসভবনে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রচার শুরুর আগে এই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের বাড়িতে ছুটে যান।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের তিনটি আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র ২২ প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নেমে পড়েছেন। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচার শুরু করেন বিকল্পধারার মাহী বি চৌধুরী। মুন্সীগঞ্জ-২ ও ৩ আসনেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ সব প্রার্থী নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে ভোট প্রার্থনা ও সমর্থন আদায়ে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করেন।

দিনাজপুর: নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণ এবং বিগত ১০ বছরে ২০ হাজারের অধিক নার্স নিয়োগ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছেন দিনাজপুরের নার্স, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর বালুবাড়ী বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে অংশ নেন স্থানীয় জাতীয় সংসদের হুইপ ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। শোভাযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনের আনষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন।

মৌলভীবাজার: প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরা প্রকাশ্যে জনসংযোগ শুরু করেছেন। সোমবার দুপুরে জেলা সদরের চৌমোহনা থেকে আওয়ামী লীগ ও আদালতপাড়ায় বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগ শুরু করেন নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীরা।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের আটটি আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫২ প্রার্থী। সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নেমে পড়েছেন প্রচার-প্রচারণায়।

লালমনিরহাট: জেলার তিনটি আসনে ১৬ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। লালমনিরহাট-১ আসন থেকে সাতজন, লালমনিরহাট-২-এ পাঁচজন ও লালমনিরহাট-৩-এ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।

পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন। সোমবার সকালে নৌকা প্রতীক পেয়ে মির্জাগঞ্জের হযরত ইয়ারউদ্দিন খলিফা (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে নৌকার প্রার্থী জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ গণসংযোগ শুরু করেছেন। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই বাউফল পৌর শহরে এ গণসংযোগ করেন। এ সময় চিফ হুইপ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দ্বারে দ্বারে ও স্থানীয় সুশীল সমাজের বিশিষ্টজনের কাছে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।

মাধবপুর (হবিগঞ্জ): হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. অধ্যাপক আহম্মেদ আ. কাদির ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। সোমবার কয়েক শতাধিক সমর্থক নিয়ে তিনি উপজেলা শহরে মিছিল করেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা): আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করলেন নেত্রকোনা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অসীম কুমার উকিল। সোমবার নৌকা প্রতীক পেয়েই তিনি প্রথমে শাগুলী গ্রামের হযরত গোলাম হাসেন (র.)-এর মাজারে যান। সেখানে উপস্থিত সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় আওয়াম লীগ নেতা দিদারুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম, আলমগীর হাসান, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন কবীর, কৃষক লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনের প্রার্থীদের ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আনন্দমুখর পরিবেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে প্রার্থীরা মিছিল সহকারে বেরিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরে গেছেন প্রতীক নিয়ে। সেখানে তারা নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। আসনে প্রার্থীরা হলেন- মোসলেম উদ্দিন (নৌকা), শামছ উদ্দিন আহমদ (ধানের শীষ), খন্দকার রফিকুল ইসলাম (লাঙ্গল), সৈয়দ শফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র- সিংহ প্রতীক), নুরুল আলম সিদ্দিকী (হাতপাখা) ও চৌধুরী মো. ইছাহাক (তারা)।

কাপাসিয়া (গাজীপুর): গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার শুরু করেছেন। সোমবার বিকেলে গোরস্তান ময়দানে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা এবং সন্ধ্যায় নেতাকর্মীরা নৌকায় ভোট চেয়ে মিছিল বের করেন। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শাহ্‌ রিয়াজুল হান্নান বিকেলে ঘাগটিয়ায় নিজ বাড়ির আঙিনায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে পিতা হান্নান শাহর কবর জিয়ারত শেষে ঘাগটিয়া চালা বাজারে পথসভা ও মিছিল করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের নৌকার পক্ষে একযোগে ৬১টি ভোটকেন্দ্র থেকে কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে ঢাকঢোল ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মিছিল বের করা হয়।

তিতাস (কুমিল্লা): প্রতীক বরাদ্দের পর সোমবার বিকেলে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) নির্বাচনী এলাকার তিতাস উপজেলায় বিএনপি শোডাউন করেছে। দুপুর ২টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা কড়িকান্দি বাজারে সমবেত হন। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে এসে পৌঁছান এ আসনের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ড. খন্দকার মারুফ হোসেন। পরে মিছিলটি কড়িকান্দি বাজার থেকে উপজেলার গাজীপুরের তিতাস নিবাস গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সরিষাবাড়ীতে মাইক-অটোরিকশা ভাঙচুর: সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরশহরের শিমলা বাজার আমতলা এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর প্রচার মাইক ও অটোরিকশা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিম উদ্দিন বলেন, তাদের প্রার্থী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের হয়ে প্রচার চালানোর সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ ভাঙচুর চালায়।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জোয়াহের হোসেন খান বলেন, পুলিশ দুটি মাইক ও প্রচার সরঞ্জাম উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার বলেন, মাইক ভাঙচুরের বিষয়টি জানি না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।