কুপোকাত বাংলাদেশ উইন্ডিজের পেস বলে

খেলা
Spread the love

পৌষের শুরুতে মেঘলা আকাশ। নেই ঝলমলে রোদ। কথায় আছে ‘মাঘের শীত বাঘের গায়ে’ ফোটে। কিন্তু বাংলাদেশ টাইগাররা পৌষের শীতেই যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কাবু হয়ে গেল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে সিলেটে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে তামিমরা। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজ জেতা বাংলাদেশ দল টি-২০ ফরম্যাটে এসে যেন পথ হারিয়েছে।

বাংলাদেশ দলের হয়ে টপ অর্ডারের কোন ব্যাটসম্যান ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। খেলতে পারেননি মিডল অর্ডারেরও কেউ। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন বাংলাদেশ টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি দলের হয়ে খেলেছেন সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস। তার ব্যাটেই বাংলাদেশ  উইন্ডিজকে ১৩০ রানের লক্ষ্য দিতে পারে।

এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ১১ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। পরের ওভরেই ফেরেন লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে কাটা পড়েন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ ৩১ রানে তিন উইকেট হারায়। সেখান থেকে ৪৮ রানে চার এবং ৭৬ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। শেষ মেষ ছয় বল হাতে রেখে অলআউট হয় মিরাজরা।

দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আরিফুল হকের ১৭ রান। মাহমুদুল্লাহ করতে পারেন ১২ রান। আর কোন ব্যটনম্যান ১০ এর কোটায় রান নিয়ে যেতে পারেননি। তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম ৫ রান করে আউট হন। লিটন দাস করেন ৬ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শেলডম কটরেল ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া কেমো পল নেন দুই উইকেট। ওসানে থমাস ও অধিনায়ক ব্রাথওয়েট একটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশের ১০ উইকেটের আটটিই গেছে তাদের পেসারদের দখলে।

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষ লেগে এসে ঠেকেছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ এ ম্যাচে আরিফুল হক ও বাম হাতি পেসার আবু হায়দার রনি দলে নিয়েছে। এছাড়া শেষ ওয়ানডে খেলা সাইফউদ্দিন আছেন একাদশে। তিন পেসার নিয়ে নামায় দলে জায়গা হয়নি পেসার রুবেল হোসেনের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিলেটে বাংলাদেশের প্রথম টি-২০ ম্যাচটি ছিল দিবা-রাত্রির। কিন্তু ম্যাচ এগিয়ে শুধু দিনের আলোয় নিয়ে আসা হয়েছে। সে হিসেবে ম্যাচে টস হার বা জিত খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু বৃষ্টির সম্ভবনা টসটাকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। বৃষ্টি হলে পরে ব্যাট করা দলের পড়তে হবে কিছুটা বিপাকে।