করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগে মিলেছে সাফল্য

Corona Update
Spread the love

করোনাভাইরাসে প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৭৮ জনে। এ মহামারীর কারণে বিশ্ববাসী ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছে, চারদিক সুনসান নীরবতা, জনশূন্য। যেন পৃথিবী আজ এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো টিকা, নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই পরীক্ষামূলক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি, আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতার ওপরেই ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ পরিস্থিতিতে সুসংবাদ শোনালেন বিজ্ঞানীরা। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত দিয়েই এ ভাইরাসকে ঠেকানোর কথা ভাবছেন তারা।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার দুই বয়স্ক নিউমনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসায় সেখানকার চিকিৎসকরা এই একই অসুখ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করেন।

চিকিৎসকদের দাবি, এর ফলে ওই দুই বয়স্ক নিউমনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সেরে উঠেছেন।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্লাজমা বা রক্তরস ব্যবহার করা এই চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক পুরনো। একে কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি বলা হয়।

বিজ্ঞানীরা এখন এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপিকেই কাজে লাগাতে চাইছেন এই ভাইরাসের চিকিৎসায়।

বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি চীনের ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ’-এ ৩৬ থেকে ৭৩ বছর বয়সী পাঁচ রোগীর ওপর এই কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল। এখানকার গবেষকদের দাবি, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার পর ১২ দিনের মধ্যেই সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রদেশে করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের রক্তের প্লাজমা সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন গবেষকরা।

আমেরিকান রেডক্রস এমনই রক্তদাতাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ওয়েবসাইটও খুলেছে। এই নতুন পদ্ধতিতে যদি সত্যিই সাফল্য পান বিজ্ঞানীরা তা হলে করোনার চিকিৎসায় গতি আনা সম্ভব হবে।

তথ্যসূত্র: জিনিউজ